ঢাকা , রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫ , ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেনীর বন্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলে দুর্ভোগ

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক
আপলোড সময় : ২৪-০৮-২০২৪ ০২:১৭:০৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ১২-১০-২০২৪ ১০:০৪:৪৩ অপরাহ্ন
ফেনীর বন্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচলে দুর্ভোগ
ফেনীতে বন্যা পরিস্থিতির কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোথাও কোথাও পানি থাকায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।

সরাসরি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছাতে পারছেন না যাত্রীরা। দূরপাল্লার বাসও চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে ভেঙে ভেঙে অনেক গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাদের দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। জেলার ছয় উপজেলাই এখনো প্লাবিত। পানিবন্দি হয়ে লাখ লাখ মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

এই অবস্থায় উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), ফায়ার সার্ভিস ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ফেনী সদর ও দাগনভূঞা উপজেলার ৮০ শতাংশ এলাকার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সোনাগাজী উপজেলার সব ইউনিয়নে বন্যার পানি ঢুকেছে। প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ দুর্ভোগে আছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন গ্রামে প্রায় এক লাখ মানুষ এখনো পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। বন্যাকবলিত অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। বেশির ভাগ মোবাইল টাওয়ার অকেজো হয়ে পড়ায় যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। ইন্টারনেটও নেই। শুক্রবার সকাল ৮টায় চট্টগ্রামে বসবাসকারী একজন সাংবাদিক জানিয়েছেন, নগরীর এ কে খান রোড ও অলংকার মোড় থেকে ঢাকা, নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করা দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে এদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ট্রাক, কনটেইনারবাহী ট্রেইলর, প্রাইভেট কার, মিনি ট্রাক চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে চট্টগ্রাম নগর থেকে মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পর্যন্ত ছোট আকারের কিছু বাস যাচ্ছে।

ছাগলনাইয়া উপজেলার ১০ নম্বর ঘোপাল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নিজকুঞ্জরা গ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বন্যার পানিতে চট্টগ্রাম থেকে সিলেটগামী একটি বাস আটকা পড়ে। বাসটিতে ৫০ জনের মতো যাত্রী আছেন। তারা জানান, বৃহস্পতিবার বাসটি চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে এসেছিল। চট্টগ্রামের একজন সাংবাদিক জানান, তিনি সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম থেকে ফেনীর উদ্দেশে রওনা দেন। কিছু দূর হেঁটে, কিছু দূর অটোরিকশা ও কিছু দূর বাসে করে ফেনীতে পৌঁছান।

কুমিল্লার বাসিন্দা মো. আলমগীর চট্টগ্রামে চাকরি করেন। তার বাবা-মা কুমিল্লার বাড়িতে বসবাস করেন। তারা বন্যা কবলিত হয়েছেন। খবর পেয়ে তিনি কুমিল্লায় যাওয়ার জন্য রওনা দেন। কিন্তু সরাসরি কোনো বাস পাননি।

আলমগীর বলেন,  ঘণ্টাখানেক অপেক্ষার পরও কোনো বাস পাইনি। বাধ্য হয়ে বারইয়ারহাটের একটি বাসে চড়ি। ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে। বসতবাড়ি ডুবে যাওয়ায় বিপদে পড়েছি।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dinajpur TV

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ