জুলাই ২০, ২০২৫, ০৫:৩৭ পিএম
বাবার দ্বিতীয় বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গোপালগঞ্জে এসেছিলেন আশিক ভুঁইয়া (২৩)। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নতুন মাসহ ঢাকার মিরপুরে ফেরার পথে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। গত বুধবার গোপালগঞ্জে হামলা-সংঘর্ষের এক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আজ রবিবার (২০ জুলাই, ২০২৫) দুপুরে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের সামনে আশিকের বাবা শাহীন আলম সমকালকে এই ঘটনার বিস্তারিত জানান। তিনি বলেন, "আমরা মিরপুর-১১ নম্বর সেকশনে থাকি। ছয় মাস আগে আমার প্রথম স্ত্রী মারা যান। এরপর ছেলেদের আগ্রহের কারণে দ্বিতীয় বিয়ে করতে রাজি হই। গোপালগঞ্জ সদরের করপাড়া ইউনিয়নের কংসুরের এক মেয়ের সঙ্গে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হয়। গত শুক্রবার কংসুরে বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।"
শাহীন আলম জানান, শুক্রবার রাত পৌনে ৮টার দিকে দ্বিতীয় স্ত্রী ও ছেলে আশিকসহ পরিবারের মোট ছয়জনকে নিয়ে ঢাকার মিরপুরে ফেরার উদ্দেশে গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন বাসস্ট্যান্ডে যান। বাসের অপেক্ষায় থাকার সময় আশিক অদূরে একটি দোকানে কিছু কিনতে যায়। কিন্তু অনেকক্ষণ পরও সে ফিরে না আসায় শাহীন আলম এগিয়ে গিয়ে জানতে পারেন, তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। পুলিশের গাড়ির খোঁজ করতে করতে শেষ পর্যন্ত সদর থানায় গিয়ে তিনি জানতে পারেন, বুধবারের হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় আশিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর শনিবার আদালতে হাজির করার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
শাহীন আলম পেশায় একজন গাড়িচালক। তাঁর তিন ছেলের মধ্যে বড় আশিক একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। প্রায় এক বছর আগে আশিক সদরের উরফি ইউনিয়নের মধুপুরে বিয়ে করেছেন।
আজ দুপুরে কারাফটকে শাহীন আলমের দ্বিতীয় স্ত্রী, আশিকের স্ত্রী, শাশুড়িসহ স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। তারা আশিকের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও সেই অনুমতি মেলেনি। পরে তারা জামিন আবেদনের জন্য ওকালতনামায় স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা চালালেও সে ক্ষেত্রেও বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাদের।
এ ব্যাপারে জানতে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কল রিসিভ করেননি।
আপনার মতামত লিখুন: