জুলাই ১৮, ২০২৫, ১০:১৪ পিএম
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় আবারও জটিলতা দেখা দিয়েছে। মিশরসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ যখন মধ্যস্থতার ভূমিকায় নেমেছে, তখন হামাসের অসহযোগিতায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে মিশর। অভিযোগ উঠেছে, গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস তাদের কাঙ্ক্ষিত সহযোগিতা করছে না, যা এবারের প্রচেষ্টায় আরও স্পষ্ট হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মিশর হামাসকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে বলে জানা গেছে।
১২ দিনের ইরান-ইসরায়েল সংঘাত বন্ধের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নেন। তার আহ্বানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ করছে। তবে, গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি গ্রহণে হামাস বারবার অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে, এমনকি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর প্রতিরোধও গড়ে তুলতে পারছে না। হামাসের এই গোঁড়ামিতে মিশর চরম বিরক্ত। দেশটি চুক্তি মেনে নিতে হামাসকে চাপ দেওয়ার পাশাপাশি হুমকিও দিয়েছে।
একজন আরব কূটনীতিক টাইমস অব ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, মিশর হামাসের ওপর গভীরভাবে বিরক্ত। কাতারে থাকা তাদের প্রতিনিধিদল গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য হামাসের প্রতিনিধিদলকে সরাসরি হুমকি দিয়েছে।
ওই কূটনীতিক আরও বলেছেন, মিশর হামাসকে যুদ্ধবিরতি মেনে নিতে তীব্র চাপ সৃষ্টি করছে। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, মিশরীয় কর্মকর্তারা হামাস প্রতিনিধিদলের প্রধান খলিল আল-হাইয়াকে নির্বাসনের হুমকি দিয়েছেন এবং চুক্তি গ্রহণে অস্বীকৃতি জানানোর জন্য তাকে অপমান করেছেন।
মধ্যস্থতা প্রচেষ্টার সঙ্গে জড়িত দ্বিতীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, হামাসের প্রতি মিশরের ক্ষোভের মূল কারণ হলো, কায়রো মনে করে হামাস আলোচনা শুরুই করতে দিচ্ছে না এবং শান্তি প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করছে।
সূত্রগুলো বলছে, মধ্যস্থতাকারীরা এখনও হামাসের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। এ সপ্তাহে ইসরায়েল কর্তৃক জমা দেওয়া নতুন শর্তে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি প্রস্তাব আলোচনার টেবিলে রয়েছে।
হামাসের প্রতি হতাশা থাকা সত্ত্বেও সূত্রটি বলছে, সমস্যাটি সমাধানযোগ্য এবং কয়েকদিনের মধ্যেই একটি চুক্তি সম্ভব হতে পারে, যদি হামাস তাদের অবস্থানে নমনীয় হয়। গাজার সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে একটি স্থিতিশীল যুদ্ধবিরতি চুক্তি জরুরি বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল।
আপনার মতামত লিখুন: