সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

রাশিয়াকে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিল ইউক্রেন

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২০, ২০২৫, ০৫:১৬ পিএম

রাশিয়াকে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দিল ইউক্রেন

ছবি- সংগৃহীত

ইউক্রেন আবারও রাশিয়ার সঙ্গে নতুন করে শান্তি আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। চলমান যুদ্ধ ও ক্রমবর্ধমান সহিংসতার মধ্যে কূটনৈতিক সমাধানের পথ খুঁজছে দেশটি। এর অংশ হিসেবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সরাসরি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসার ইচ্ছা জানিয়েছেন।

রবিবার (২০ জুলাই, ২০২৫) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে আসে। শনিবার এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা পরিষদের নতুন প্রধান রুস্তেম উমেরভ রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন। গত মাসে আলোচনার অচলাবস্থার পর এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলেনস্কির ভাষায়, "যুদ্ধবিরতির জন্য যা যা প্রয়োজন, সব করতে হবে। এখন রাশিয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়।" তিনি মনে করেন, নেতৃত্ব পর্যায়ে সরাসরি বৈঠকই স্থায়ী শান্তির পথে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হতে পারে।

জানা গেছে, নতুন আলোচনার নেতৃত্বে থাকবেন রুস্তেম উমেরভ, যিনি পূর্বে তুরস্কে অনুষ্ঠিত দুটি শান্তি বৈঠকে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের প্রধান ছিলেন। যদিও আগের আলোচনাগুলোতে রাশিয়ার শর্ত—যেমন চারটি অঞ্চল ছেড়ে দেওয়া এবং পশ্চিমা সামরিক সহায়তা প্রত্যাখ্যান—ইউক্রেনের জন্য অগ্রহণযোগ্য ছিল।

এদিকে রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন যে শান্তি আলোচনায় গতি আনা দরকার, যা বিশ্লেষকদের কাছে মস্কোর কৌশলগত নমনীয়তা হিসেবে প্রতীয়মান। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন চাপের কারণে। তিনি রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতির জন্য ৫০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন, নইলে রুশ পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ এবং রুশ তেল ক্রেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছেন। একই সঙ্গে ইউক্রেনকে আরও বেশি অস্ত্র পাঠানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। তবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এসব শর্তকে "ওয়াশিংটনের ব্ল্যাকমেইল" হিসেবে সমালোচনা করেছেন।

এমন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই দুই দেশের মধ্যে সহিংসতা অব্যাহত আছে। শনিবার ভোরে রাশিয়া দক্ষিণ ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে ড্রোন হামলা চালিয়ে একজনকে হত্যা করে এবং ছয়জনকে আহত করে। জেলেনস্কি জানান, ওই রাতে রাশিয়া ৩০টির বেশি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৩০০ ড্রোন নিক্ষেপ করেছে, যা ১০টি অঞ্চলে প্রভাব ফেলেছে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের পাল্টা ড্রোন হামলায় রাশিয়ার রোস্তভ অঞ্চলে একজন রেলকর্মী আহত হন এবং ট্রেন চলাচল চার ঘণ্টার জন্য বন্ধ থাকে। মস্কোর আকাশেও ড্রোন প্রতিহত করা হয়, ফলে কিছু সময়ের জন্য দুইটি বিমানবন্দরের ফ্লাইট বন্ধ রাখা হয়।