সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

নির্বাচনে এনসিপির জয় অসম্ভব: তারেক রহমানের পক্ষে ইশরাক হোসেনের বক্তব্য

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২০, ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম

নির্বাচনে এনসিপির জয় অসম্ভব: তারেক রহমানের পক্ষে ইশরাক হোসেনের বক্তব্য

ছবি- সংগৃহীত

আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেউ জিততে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আন্তর্জাতিকবিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন কোনো নির্বাচনী এলাকা নেই, যেখানে এনসিপির কেউ জয়লাভ করবে। তাই তারা পিআর পদ্ধতির নামে নির্বাচন পেছানোর চক্রান্ত করছে।’ তার এই বক্তব্য বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আসন্ন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অবস্থানের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছে।

গত রোববার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর নয়াবাজারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কটূক্তি, এবং অন্তর্বর্তী সরকারের নির্লিপ্ততায় সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে আয়োজিত এক মশাল মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নয়াবাজার মোড় থেকে শুরু হয়ে এই মশাল মিছিলটি তাঁতীবাজার, গুলিস্তান, পল্টন হয়ে নয়াপল্টন বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।

ইশরাক হোসেন তার বক্তব্যে জুলাই শহীদদের আত্মত্যাগ নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘জুলাই শহীদদের আত্মা আজ কষ্ট পাচ্ছে। কারণ, শহীদরা কেউ জানতেন না আমাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে কারও মাঝে ক্ষমতার লোভ জাগবে।’ তিনি বাক স্বাধীনতা প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রতিটি মানুষের ব্যক্তি বাক স্বাধীনতা আছে। তার মানে এই নয়, আরেকজনের স্বাধীনতা হরণ করবেন, সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করবেন। এনসিপি আজকে যেভাবে শিষ্টাচারবহির্ভূত কথা বলছেন, সেটিকে গণতন্ত্র বলে না।’ কক্সবাজারে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ সম্পর্কে নাসিরুদ্দীন পাটওয়ারীর শিষ্টাচার বহির্ভূত কথার জন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হবে বলেও ইশরাক দাবি করেন, নতুবা চকরিয়ার মতো সারা দেশে জনগণ তাদের অবাঞ্ছিত করবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে দেশে কিছু হলেই এনসিপি-জামায়াত বিএনপির দিকে আঙুল তাক করে। তারা ভালোমতোই জানে দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিএনপি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে। তাই একেক সময় একেক অযৌক্তিক দাবি জানিয়ে নির্বাচন পেছানোর পাঁয়তারা করছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকে জুলাই শহীদের নিয়ে ফায়দা লুটা হচ্ছে। আমি জানতে চাই জুলাই আন্দোলন এনসিপি-জামায়াতের কতজন শহীদ হয়েছেন? এনসিপি নেতারাও ভালোভাবে জানে পর্দার আড়ালে এই আন্দোলন তারেক রহমান তত্ত্বাবধান করছেন এবং বিএনপি ও ছাত্রদল-যুবদলের নেতারা মৃত্যুর অগ্রভাগে ছিলেন। আজকে ক্ষমতার লোভে তারা বেমালুম ভুলে গেছে। শুধু তাই নয়, তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতেও তাদের বিবেক একটুও কাঁপে না।’

ইশরাক হোসেন সাম্প্রতিক সহিংসতা নিয়েও কথা বলেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘গোপালগঞ্জে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপির ৩ জন নিহত হলো। তখন কেন এত প্রতিবাদ হলো না, রাষ্ট্রযন্ত্র কেন নিশ্চুপ ছিল। এনসিপির সমাবেশকে ঘিরে যে পাঁচটি জীবন গেল, তার দায়ভার কে নেবে?’ তিনি কুমিল্লার মুরাদনগরের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, ‘উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূইয়া কী করছেন, তা সবাই অবগত। একের পর খুন হচ্ছে। হত্যা হলেই যাচাই-বাছাই না করেই বিএনপির ওপর দোষ চাপানো হয়। আর যখন দেখে এখানে নতুন একটি দলের সম্পৃক্ততা রয়েছে, তখন মিডিয়াও নিশ্চুপ হয়ে যায়। মুরাদনগরে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর এখন যত নির্যাতন চলছে, তা আওয়ামী লীগ আমলেও হয়নি।