জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৫:৪৫ পিএম
ক্রিকেট বিশ্বে দুর্নীতির ঘটনা খেলার সৌন্দর্য ও সততাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে থাকে, যার ফলে অনেক ক্রিকেটারকে নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়েছে। এমনই একজন ক্রিকেটার হলেন জিম্বাবুয়ের তারকা ব্রেন্ডন টেলর, যিনি আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী আইন লঙ্ঘনের দায়ে সাড়ে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন। তার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর এখন তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন নিয়ে ক্রিকেট মহলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী আইন লঙ্ঘনের দায়ে সাড়ে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন ব্রেন্ডন টেলর। তার এই শাস্তি শেষ হয়েছে গত ২৫ জুলাই, ২০২৫ তারিখে। তাই এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে তার কোনো বাধা নেই।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে জিম্বাবুয়ে দলে ফিরছেন টেলর। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন নিজেই নিশ্চিত করেছেন যে, দ্বিতীয় টেস্টের জন্য টেলর ‘অ্যাভেইলএবল’ আছেন।
এ প্রসঙ্গে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক বলেন, “দ্বিতীয় টেস্টের জন্য সে অবশ্যই অ্যাভেইলএবল আছে। কিন্তু আমি জানি নিজের চেষ্টায় সে কতটা কঠোর পরিশ্রম করেছে। বিশেষ করে সবশেষ ৮, ১০ কিংবা ১২ মাসে—তারপরই এটা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাকে ফিরে পেতে আমি রোমাঞ্চিত হয়ে আছি এবং অপেক্ষায় আছি সে দলের জন্য কতটা অবদান রাখতে পারে।”
নিষেধাজ্ঞার পেছনের ঘটনা: ২০১৯ সালের অক্টোবরে নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন টেলর। স্পন্সরশিপ ও জিম্বাবুয়েতে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট চালু করতে আলোচনা করার জন্য তাকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এক ব্যবসায়ী। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের এই ক্রিকেটার।
ভারতে যাওয়ার পর ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার, একটি স্যামসাং এস-১০ মডেলের ফোন ও নতুন কাপড়চোপড় নিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে দুর্নীতির প্রস্তাবও পেয়েছিলেন টেলর। তবে সেই প্রস্তাবের কথা আইসিসিকে জানাতে দেরি করেছিলেন তিনি। এসব কারণে ২০২১ সালে তাকে নিষিদ্ধ করে আইসিসি।
দীর্ঘ বিরতির পর ব্রেন্ডন টেলরের এই প্রত্যাবর্তন জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হতে পারে, এবং ভক্তরা তাকে আবার মাঠে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
আপনার মতামত লিখুন: