জুলাই ২৮, ২০২৫, ০৯:৪২ এএম
গত ১৯ জুলাই ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতে ইসলামীর ঐতিহাসিক সমাবেশের বিশাল ব্যয় নিয়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে ব্যাপক গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। ১০০ থেকে ২০০ কোটি টাকার খরচের দাবির মুখে এবার মুখ খুললেন দলটির আমির ড. শফিকুর রহমান, যিনি দিলেন এক ভিন্ন হিসাব। এটি ছিল রাজধানীতে দলটির প্রথম এত বড় আকারের একক সমাবেশ। এই সমাবেশে যোগ দিতে হাজার হাজার বাস ভাড়া করা হয়েছিল এবং অসংখ্য লঞ্চ ও ট্রেন রিজার্ভ করা হয়েছিল। পুরো রাজধানী ব্যানার ও ফেস্টুন দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছিল, যা সমাবেশের বিশালতা প্রকাশ করে।
সমাবেশের পর থেকেই বিভিন্ন মহলে এর বিশাল খরচ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে এই ব্যয়ের বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাবি করা হয় যে, এই সমাবেশের খরচ ১০০ কোটি থেকে ২০০ কোটি টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এই ব্যয় সংক্রান্ত দাবির বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির ড. শফিকুর রহমান সম্প্রতি রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক রোকন সম্মেলনে তার ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, কিছু লোক এই খরচ বিশ্লেষণ করে ১০০ কোটি বা এমনকি ২০০ কোটি টাকার দাবি করছে। তবে, ড. রহমান স্পষ্ট করে জানান যে, এই সমাবেশের আনুমানিক খরচ প্রাথমিকভাবে ২.৭৫ কোটি টাকা (২ কোটি ৭৫ লাখ) ধরা হয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি ৩.৫ কোটি টাকা (৩ কোটি ৫০ লাখ) পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে, এর বেশি নয়।
ড. রহমান জোর দিয়ে বলেন যে, দল এই সমাবেশের জন্য কোনো অনুদান চায়নি বা কোনো চাঁদাবাজি করেনি। তিনি আরও জানান যে, বড় বড় ব্যবসায়ীরা অর্থ প্রস্তাব করেছিলেন, কিন্তু দল তাদের "আধ্যাত্মিকতা" বজায় রাখার জন্য তা গ্রহণ করেনি।
সমাবেশটি দুটি প্রধান কারণে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বলে ড. রহমান উল্লেখ করেন: ১. ৫ আগস্টের পর অন্যান্য দলগুলো বড় সমাবেশ করলেও জামায়াতে ইসলামী কোনো অস্থিরতা সৃষ্টি করেনি, তা দেখানো। ২. বাংলাদেশের জনগণের কাছে জামায়াতে ইসলামীর ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতি প্রদর্শন করা।
তিনি এই সমাবেশকে তাদের প্রস্তুতির একটি "ছোট নমুনা" হিসেবে বর্ণনা করেন।
আপনার মতামত লিখুন: