জুলাই ২৮, ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম
ভারতের রাজধানী দিল্লির একটি অভিজাত এলাকায় 'নীরব ফ্ল্যাটে' ভারতীয় গোয়েন্দাদের পাহারায় রয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে কার্যত দিল্লিতে 'গৃহবন্দী' করে রাখা হয়েছে এবং বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের সাথে তার কোনো যোগাযোগ নেই। তার দল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা, যার মধ্যে ড. হাসান মাহমুদ এবং ওবায়দুল কাদেরও রয়েছেন, তার সাথে দেখা করতে পারেননি।
ভারত শেখ হাসিনাকে রাখতে চায় না, তবে সরাসরি তা বলছে না। একসময় তাকে তাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র বললেও, মোদি প্রশাসন এখন তার প্রতি অস্বস্তি বোধ করছে। ভারতের অবস্থান কৌশলগতভাবে স্পষ্ট: তারা শেখ হাসিনার অধ্যায়কে ইতিহাসে পাঠাতে চায়। তারা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারকে কার্যত স্বীকৃতি দিয়েছে, যদিও এখনও 'মধুর সম্পর্ক' গড়ে ওঠেনি। বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা, সীমান্ত উত্তেজনা এবং মেডিকেল ভিসা স্থগিতের কারণে সম্পর্কটি 'বরফে ঢাকা' বলে বর্ণনা করা হয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ভারতের প্রধান ভুল ছিল কেবল আওয়ামী লীগের ওপর নির্ভর করা এবং বিকল্প পরিকল্পনার অভাব। ভারতের বর্তমান দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবসম্মত; তারা শেখ হাসিনার পরিবর্তে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অবস্থার ওপর মনোযোগ দিচ্ছে। ভারত এখন বাংলাদেশে একটি 'গ্রহণযোগ্য নির্বাচন' চায় যা জনমতকে প্রতিফলিত করবে। ভারত আর সরাসরি শেখ হাসিনার সাথে জড়িত হচ্ছে না এবং অতীতের সম্পর্ক থেকে এগিয়ে যেতে চায়।
ভারতের দ্বিধাগ্রস্ত নীতির কারণে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে একটি 'অন্ধকার অধ্যায়' শুরু হয়েছে। কূটনৈতিক নীরবতা, সীমান্ত দিয়ে জোরপূর্বক প্রবেশ বৃদ্ধি এবং গুলি চালানোর ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে। বাংলাদেশ থেকে দিল্লিতে পাঠানো নতুন একজন কূটনীতিক এখনও প্রবেশাধিকার পাননি। বাংলাদেশের জনগণের কাছে ভারত এখন একটি 'দালাল শক্তি' হিসেবে বিবেচিত, যারা নিজেদের স্বার্থে দেশের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকার এখনও স্থিতিশীল নয়, তবে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে।
আপনার মতামত লিখুন: