জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৬:১৫ পিএম
যৌতুক একটি সামাজিক ব্যাধি, যা বাংলাদেশের সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা ও নির্যাতনের অন্যতম প্রধান কারণ। যৌতুকের বলি হয়ে অনেক নারীর জীবন শেষ হয়ে যায়। বাংলাদেশের আইন যৌতুক প্রথাকে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করেছে এবং যৌতুক সংক্রান্ত অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রেখেছে। সিরাজগঞ্জের তাড়াশে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়, এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর অবস্থানের একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দুই লাখ টাকা যৌতুক না পেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন (৩০) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার দায়ে তার স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে একলাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই আসামিকে দ্য পেনাল কোডের ২০১ ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক বেগম সালমা খাতুন এ দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম মো. মতিউর রহমান খদগীর ওরফে আব্দুল মতিন (৪৬)। তিনি সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বাসিন্দা।
মামলার বিবরণ: ওই আদালতের পেশকার মো. তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা যায়, যৌতুকের ২ লাখ টাকা না পেয়ে আসামি মতিউর রহমান খদগীর ওরফে আব্দুল মতিন তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন। এরপর থেকে এই জঘন্য হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রক্রিয়া চলছিল, যার ফলশ্রুতিতে আজ আদালত এই রায় ঘোষণা করলেন।
এই রায় সমাজে যৌতুকজনিত হত্যাকাণ্ড রোধে এবং নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে একটি বার্তা দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন: