শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় আরও একটি মামলা, আসামি ৪৭৭ জন

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ৩১, ২০২৫, ১০:২৮ এএম

গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলার ঘটনায় আরও একটি মামলা, আসামি ৪৭৭ জন

ছবি- সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশে হামলার ঘটনায় আরেকটি মামলা হয়েছে। এতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা শাখার সভাপতি নিউটন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান সহ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ–সহযোগী সংগঠনের ৭৭ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গতকাল বুধবার (৩০ জুলাই, ২০২৫) সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলাটি করেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ নিয়ে গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে হামলা ও ককটেল নিক্ষেপ, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, জেলা কারাগারে হামলা, জেলা প্রশাসকের বাসভবনে হামলা, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়ানোর অভিযোগে ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট ১৫টি মামলা করা হলো। সদর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া থানায় মামলাগুলো করা হয়। ১৫টি মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১ হাজার ২৫২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১৪ হাজার ৯৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

গতকাল করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৬ জুলাই এনসিপির জুলাই পদযাত্রাকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জ পৌর পার্কের সমাবেশ বানচাল করার উদ্দেশ্যে আসামিরা বিভিন্ন সড়কে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। সদর উপজেলার কাঠিবাজার ও এর আশপাশের এলাকায় গোপালগঞ্জ-পয়সারহাট আঞ্চলিক সড়কের ওপর নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ–সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে লাঠিসোঁটা, রড, ইটপাটকেল, কাঠের বাটাম, দেশি অস্ত্রশস্ত্র ও গাছ কাটার ইলেকট্রিক করাত নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মিছিল শুরু করেন। তাঁরা লাঠিসোঁটা, রড, ইটপাটকেল ও দেশি অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ঘটনাস্থলের দোকানপাট ভাঙচুর করেন। রাস্তার পাশে থাকা সরকারি গাছ কেটে যান চলাচল বন্ধ করে দেন।

ওই ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৩৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই এনসিপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা হামলা চালান। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেদিন প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। রাতেই কারফিউ জারি করা হয়। পরে কারফিউর মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হয়। ২০ জুলাই রাত আটটায় কারফিউ ও ১৪৪ ধারা তুলে নেওয়া হয়।