জুলাই ৩১, ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম
জুলাই-চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়েছে। এই তদন্তে ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (রাবিপ্রবি) এমনই এক তদন্তের পর কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও র্যাগিংয়ের অভিযোগে ১০ ছাত্রলীগ নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও সনদ বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা শিক্ষাঙ্গনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) ১০ ছাত্রলীগ নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার ও সনদ বাতিল করা হয়েছে। জুলাই-চ৪ব্বিশ গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের র্যাগিংসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাবিপ্রবি প্রশাসন।
বহিষ্কৃতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের (সিএসই) বিশ্বজিৎ শীল সাগর, সাইদুজ্জামান পাপ্পু, মহিউদ্দিন মুন্না, আবির, হাসু দেওয়ান, জাকির হোসেন, ম্যানেজমেন্ট বিভাগের জাহাঙ্গীর আলম অপু, আকিব মাহমুদ, অন্তু কান্তি দে ও রিয়াদ তালুকদার।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিয়ার রহমান জানান, অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার (৩০ জুলাই) তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, “তারা জুলাই-আগস্ট ও তার আগে-পরে ছাত্র নামধারী যেসব সন্ত্রাসী শিক্ষার্থীদের ওপর অত্যাচার, নিপীড়ন ও নির্যাতন চালিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে এমন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে আমি যোগদানের পরই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলাম। কমিটি বিস্তারিত তদন্তে তথ্য-উপাত্ত ও প্রমাণাদি সংগ্রহ করে প্রতিবেদন দিয়েছে। এ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে রিজেন্ট বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অভিযুক্তদের কাউকে স্থায়ী বহিষ্কার, আবার যারা অপরাধে যুক্ত ছিলেন কিন্তু ছাত্রত্ব শেষ করেছেন তাদের সনদ বাতিল করে দেওয়া হয়েছে।”
অপরপক্ষে বহিষ্কৃতদের মধ্যে ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আকিব মাহমুদ বলেন, “চব্বিশের জুলাই-আগস্টে এমন কোনো ঘটনা ক্যাম্পাসে ঘটেনি, যে কারণে আমাদের বহিষ্কার করা হতে পারে। ক্যাম্পাসে কোটার দাবিতে একদিন বৈষম্যবিরোধী ব্যানারে কর্মসূচি পালিত হয়েছে, সেদিনও কিছুই হয়নি। আমরা সম্পূর্ণভাবে ভিসি ও ছাত্রদল-শিবিরের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। একদিন নিশ্চয়ই এ অবিচারের বিচারও হবে।”
আপনার মতামত লিখুন: