চট্টগ্রামে হঠাৎ ট্রেনের যাত্রা বাতিল, স্টেশনে যাত্রীদের বিক্ষোভ

বাংলাদেশের রেলওয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থায় প্রায়শই বিভিন্ন অব্যবস্থাপনা এবং অনিয়মের কারণে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ট্রেন বিলম্ব এবং আকস্মিক যাত্রা বাতিলের ঘটনা সাধারণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সম্প্রতি চট্টগ্রাম থেকে পর্যটন শহর কক্সবাজারগামী একটি ট্রেনের যাত্রা হঠাৎ বাতিল করায় যাত্রীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এটি কেবল যাত্রী হয়রানি নয়, বরং রেলওয়ের পরিষেবার মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।

চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী প্রবাল এক্সপ্রেস ট্রেনের শুক্রবার (১ আগস্টের) যাত্রা হঠাৎ করেই বাতিল করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। এদিকে হঠাৎ কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে বিক্ষোভ করেছে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা।

গ্রাফিতি আওয়ামী স্বৈরশাসনের ভয়াল দিনগুলো স্মরণ করিয়ে দেবে : আসিফ মাহমুদ

বিস্তারিত পড়ুন

জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে প্রতিদিন ডকুমেন্টারি আসছে : প্রেসসচিব

বিস্তারিত পড়ুন

রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানায়, চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে প্রতিদিন বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে কক্সবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে যায় প্রবাল এক্সপ্রেস। শুক্রবার যাত্রার নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার দুই ঘণ্টা পর বিকেল ৫টা ৫০ মিনিটে ট্রেন বাতিলের ঘোষণা আসে। নির্ধারিত সময়ে ইঞ্জিন না পৌঁছানোয় ট্রেনটি যাত্রা করতে পারেনি বলে জানান রেলের কর্মকর্তারা। তবে যাত্রীদের টিকিটের মূল্য ফেরত দেওয়া হবে বলে জানান তারা।

এদিকে, ট্রেন বাতিলের ঘোষণা আসার পর স্টেশন চত্বরে বিক্ষোভ করেন যাত্রীরা। তাদের কেউ কেউ স্টেশনের ভেতরে ঢুকে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

ক্ষোভ জানিয়ে যাত্রী এহসান উদ্দিন বলেন, “বাসে যাতায়াতে নানা জটিলতা হয়, তাই ট্রেনে আগে থেকে টিকিট কেটে রেখেছি। সেই ট্রেনে এবার একই দশা হলো, কক্সবাজারে আমাদের রুম বুকিং আছে। এখন রেলের টিকিটের টাকা ফেরত পেলে কক্সবাজারে হোটেলের রুমের টাকা কে দেবে।”

রেলওয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) এ বি এম কামরুজ্জামান বলেন, “ইঞ্জিন দেরিতে আসায় প্রবাল এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। এতে আমাদের দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া কিছু করার ছিল না।”