আগস্ট ১, ২০২৫, ০৬:৫৯ পিএম
বাংলাদেশের রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামী একটি গুরুত্বপূর্ণ দল। দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমানের সাম্প্রতিক অসুস্থতা তার অনুসারীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। ১৯ জুলাই একটি সমাবেশে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছিল। অবশেষে তার দল জামায়াতে ইসলামী সংবাদ সম্মেলন করে তার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ অবস্থা এবং আসন্ন ওপেন হার্ট সার্জারির ঘোষণা দিয়েছে। এই সংবাদটি দলীয় রাজনীতি এবং তার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি হবে শনিবার (০২ আগস্ট)। তার হার্টে ৫/৬টি ব্লক ধরা পড়েছে। তার মধ্যে তিনটি আর্টারির প্রায় ৮৫ ভাগ ব্লক। এরই মধ্যে তাকে গত বুধবার রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর মগবাজারে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থা জানাতেই এই সংবাদ সম্মেলন হয়।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, গত ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঐতিহাসিক সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় জামায়াতের আমির অসুস্থ হন। তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় পড়ে যান। একপর্যায়ে বসে থেকেই বক্তব্য শেষ করেন। সেই থেকে তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে দেশবাসী উদ্বিগ্ন। আমরা সেদিনই তাৎক্ষণিকভাবে বেসরকারি একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়। ডাক্তাররা জানান প্রচণ্ড গরমের কারণে তার পানি স্বল্পতা (ডিহাইড্রেশন) দেখা দেয়।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, গত ৩০ জুলাই ইউনাইটেড হাসপাতালে জামায়াত আমিরের এনজিওগ্রাম করা হয়েছে। তার হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে। ডাক্তাররা বলেছেন, তিনি এখনো ভালো আছেন। তিনটি আর্টারিতে প্রায় ৮৫ ভাগ ব্লকসহ ৫/৬টি ব্লক ধরা পড়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শে আমরা রিং পরানোর উদ্যোগ নিই। পরবর্তীতে অভিজ্ঞ ডাক্তাররা দেখলেন যে, রিং পরানোর চেয়ে ওপেন হার্ট সার্জারি করাটাই ভালো।
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল জানান, অনেকে তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পরামর্শ দিলেও জামায়াত আমির দেশের হার্টের চিকিৎসায় আস্থাশীল। তিনি বিদেশে যেতে সম্মত হননি। তিনি বলেন, বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে শনিবার সকাল সাতটার দিকে একটি চিকিৎসক টিমের সমন্বয়ে জামায়াত আমিরের ওপেন হার্ট সার্জারি হবে।
তিনি আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, সেনাপ্রধানসহ অসংখ্য দলের শীর্ষ নেতারা জামায়াত আমিরের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন। তবে চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন, সুচিকিৎসার সুবিধার্থে মোবাইলে কথা বলা ও কারো সাক্ষাৎ দেওয়া বন্ধ রাখা দরকার।