আগস্ট ১০, ২০২৫, ০৮:৪৭ পিএম
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর থেকেই সব রাজনৈতিক দলের মনোযোগ এখন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের দিকে। এই প্রেক্ষাপটে দেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চুয়ালি বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য দিচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্যে তিনি দেশের বর্তমান পরিস্থিতি, বিগত সরকারের সমালোচনা এবং ভবিষ্যতে বিএনপি সরকার গঠন করলে তাদের কী কী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামীতে বিএনপি সরকার গঠন করলে দেশের বিভিন্ন সেক্টরে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। রবিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে রাজশাহী মহানগর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী নির্বাচনে দেশের অধিকাংশ জনগণের সমর্থন ধানের শীষ তথা বিএনপি পাবে। তারপর আমাদের সামনে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আছে। বিগত স্বৈরাচারী সরকার শিক্ষা, বিচার, আইনশৃঙ্খলা, অর্থনৈতিক ও স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে নিজেদের স্বার্থে ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা সরকার গঠনে সক্ষম হলে আমাদের দেশকে পুনর্গঠন করতে হবে।”
তিনি বলেন, যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো, ভালো শিক্ষক নিয়োগ এবং সর্বস্তরে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়া—এগুলোই হবে মূল চ্যালেঞ্জ। তারেক রহমান আরও বলেন, কৃষিতে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে, সঠিক সময়ে সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে এবং কৃষকরা যেন পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
গত জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ টেনে তারেক রহমান বলেন, “জুলাইয়ের আন্দোলনে হাজার হাজার মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, ৩০ হাজারের বেশি মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। তবে আমরা সফল হয়েছি। এদেশ থেকে স্বৈরাচারকে বিতাড়িত করতে সক্ষম হয়েছি।” তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময়ে গুম, খুন, মিথ্যা মামলা ও বিচারব্যবস্থার ধ্বংস ছিল নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা।
ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দিয়ে তারেক রহমান বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল জনগণের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। জনগণের সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা করা। সরকার সেই পথে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে।”
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা খাতও চরমভাবে ভেঙে পড়েছে, যা পুনর্গঠন করা জরুরি। ফারাক্কার কারণে পদ্মা নদী শুকিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়ার কথা বলেন। তারেক রহমান সবশেষে বলেন, “আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং জনগণের বিশ্বাস ও আস্থা ধরে রাখার দায়িত্ব আমাদের।”