সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

ভারতে পতিতাবৃত্তি চক্রের হাতে পাচার বাংলাদেশি শিশু

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১১, ২০২৫, ০৬:৪০ পিএম

ভারতে পতিতাবৃত্তি চক্রের হাতে পাচার বাংলাদেশি শিশু

বাংলাদেশ থেকে ভারতে মানব পাচারের ঘটনা নতুন কিছু নয়। পাচারকারীরা প্রায়ই দারিদ্র্য ও পারিবারিক সমস্যার সুযোগ নিয়ে নারী ও শিশুদের ভারতে পাচার করে দেয়, যেখানে তাদের ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হতে হয়। সম্প্রতি ভারতের মহারাষ্ট্রে এমনই এক পাচার ও যৌন নির্যাতনের শিকার এক বাংলাদেশি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনাটি মানব পাচার চক্রের নৃশংসতা এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

ভারতের মহারাষ্ট্রে একটি ভয়াবহ মানব পাচার ও যৌন নির্যাতনের শিকার ১২ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও নিউজ১৮-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাজ্যটির নাইগাঁও এলাকায় একটি পতিতাবৃত্তি চক্রের হাতে তিন মাস ধরে বন্দি ছিল শিশুটি। এ সময়ে ২০০ জনেরও বেশি পুরুষের দ্বারা সে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ জুলাই মীরা-ভায়ন্দর ভাসাই-ভিরার (এমবিভিভি) পুলিশের মানব পাচারবিরোধী ইউনিটের একটি বিশেষ অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এই অভিযানে সহযোগিতা করে এনজিও এক্সোডাস রোড ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন ও হারমনি ফাউন্ডেশন। পুলিশ এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

হারমনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আব্রাহাম মাথাই জানান, প্রথমে শিশুটিকে গুজরাটের নাদিয়াদে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, যেখানে টানা তিন মাস ধরে তাকে পাশবিক নির্যাতন করা হয়। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, “মেয়েটি এখনও কৈশোরে পা রাখেনি, অথচ কিছু নৃশংস মানুষ তার শৈশব কেড়ে নিয়েছে।”

মাথাইয়ের ভাষ্যমতে, স্কুলে একটি বিষয়ে ফেল করার পর বাবা-মায়ের বকা খাওয়ার ভয়ে মেয়েটি পরিচিত এক নারীর সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল। পরে সেই নারী তাকে গোপনে পতিতাবৃত্তি চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়।

পুলিশ কমিশনার নিকেত কৌশিক জানিয়েছেন, এমবিভিভি পুলিশ পুরো নেটওয়ার্ক ধ্বংস করতে এবং ঝুঁকিপূর্ণ কিশোর-কিশোরীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। পুলিশ আরও জানায়, যৌন নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত এবং এই চক্রের সঙ্গে জড়িত বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।