আগস্ট ১১, ২০২৫, ০৮:১৭ পিএম
সাম্প্রতিক সময়ে কর ব্যবস্থা ডিজিটালাইজেশনের অংশ হিসেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করেছিল। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেও কিছু বিশেষ শ্রেণির করদাতাদের জন্য এটি চ্যালেঞ্জিং ছিল। তাদের কথা বিবেচনা করে এবার এনবিআর একটি বিশেষ আদেশ জারি করেছে, যেখানে কয়েকটি নির্দিষ্ট শ্রেণির করদাতাকে এই বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দেওয়া হয়েছে, যা কর প্রদানে তাদের স্বস্তি দেবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) পাঁচ ধরনের করদাতাকে অনলাইনে রিটার্ন জমার বাধ্যবাধকতা থেকে ছাড় দিয়েছে। এনবিআরের এই নতুন আদেশের ফলে এখন প্রবীণ, শারীরিকভাবে অসমর্থ করদাতাসহ এই পাঁচ শ্রেণির ব্যক্তিরা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করা ছাড়াই পেপার রিটার্ন জমা দিতে পারবেন। তবে, তারা যদি চান, তাহলে অনলাইনেও রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।
সোমবার (১১ আগস্ট) এনবিআরের চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত একটি বিশেষ আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে। আদেশে বলা হয়, আয়কর আইন, ২০২৩-এর ধারা ৩২৮-এর উপধারা (৪)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ২০২৫-২৬ করবর্ষ থেকে সব স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে কিছু শ্রেণির করদাতাকে এর আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।
অনলাইন রিটার্ন দাখিল থেকে অব্যাহতি পাওয়া পাঁচ শ্রেণির করদাতা হলেন: ১. ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের প্রবীণ করদাতা। ২. শারীরিকভাবে অসমর্থ বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন করদাতা (এক্ষেত্রে যথাযথ সনদ দাখিল করতে হবে)। ৩. বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি করদাতা। ৪. মৃত করদাতার পক্ষে তার আইনগত প্রতিনিধি। ৫. বাংলাদেশে কর্মরত বিদেশি নাগরিক।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, যেসব সাধারণ করদাতা ই-রিটার্ন সিস্টেমে কোনো সমস্যার কারণে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন না, তারা আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপ-কর কমিশনার বরাবর আবেদন করতে পারবেন। আবেদনপত্রে যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করতে হবে। এরপর অতিরিক্ত বা যুগ্ম কর কমিশনারের অনুমোদন পেলে সেই করদাতা পেপার রিটার্ন জমা দিতে পারবেন।