আগস্ট ১, ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে এক জটিল পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে। রাশিয়া প্রায়শই ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে, যার ফলে বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। সম্প্রতি, কিয়েভে রাশিয়ার একটি হামলায় ইসরায়েলি দূতাবাসের এক কর্মীর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই ঘটনা ইসরায়েলের মতো নিরপেক্ষ অবস্থান ধরে রাখা দেশগুলোকেও যুদ্ধের নিন্দা জানাতে বাধ্য করছে।
ইসরায়েলি দূতাবাসের এক কর্মীর বাড়িতে রাশিয়ার ড্রোন ও মিসাইল আঘাত হেনেছে। এতে তার বাড়িটি বিধ্বস্ত হয়। একই সময় কিয়েভজুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সা’আরের বরাতে দ্য টাইমস অব ইসরায়েল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছে। বৃহস্পতিবারও ইউক্রেনে ব্যাপক হামলা করে রাশিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, কিয়েভে আঘাত হানা বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুর পার্শ্ববর্তী হওয়ায় তার বাড়িটিও বিধ্বস্ত হয়।
সা’আর কিয়েভে রাশিয়ার হামলার নিন্দা করেছেন। ইসরায়েলি দূতাবাসের কর্মীর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সা’আর জানান, কিয়েভের বেশ কয়েকটি জেলায় রাশিয়ার সাম্প্রতিক হামলা নিন্দনীয়। যার ফলে একজন ইসরায়েলি দূতাবাস কর্মীর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সা’আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লিখেছেন, "আমি কিয়েভে আবাসিক এলাকায় রাশিয়ার হামলার নিন্দা করছি। যার ফলে বিপুল ও মর্মান্তিক প্রাণহানি ঘটেছে।" তিনি আরও বলেন, "আমি ইউক্রেনে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। তার বাড়িতে হামলা হয়েছে।" সা’আর আরও বলেন, "আমরা একটি টেকসই এবং স্থায়ী শান্তির আহ্বান জানাই। যা ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।"
সংবাদমাধ্যম কিয়েভ ইন্টারন্যাশনাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) চালানো ওই হামলায় এ পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের ভেতর থেকে ১৫৯ জনেরও বেশি মানুষকে আহত অবস্থায় পাওয়া গেছে। শহরের সামরিক প্রশাসনের প্রধান টাইমুর তাকাচেঙ্কো বলেছেন, রাতভর অনুসন্ধান অভিযান অব্যাহত ছিল এবং এখনো চলছে।