সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

‘যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা’

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১, ২০২৫, ০৪:৫৩ পিএম

‘যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা’

ছবি- সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টা শুল্ক কমানোর আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান

আজ শুক্রবার (১ আগস্ট, ২০২৫) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, "দেশের অভ্যন্তরীণ পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল শুল্ক আলোচনায় তিনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন, সমালোচকদের হতাশ করে।"

শুল্ক হার কমানোর ঘোষণার পর ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে তা জানানোর দুই ঘণ্টা পর বাণিজ্য উপদেষ্টাকে নিয়ে ইংরেজিতে আরেকটি পোস্ট দেন মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। 'শেখ বশিরউদ্দীন— আমাদের অসাধারণ বাণিজ্য উপদেষ্টা' শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে শেখ বশিরউদ্দীনসহ কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করার দায়িত্ব পান, সম্ভাব্য বাণিজ্য উপদেষ্টা পদে নিয়োগের জন্য। ফোনে তাকে ভোলায় খুঁজে পান, তখন তিনি একটি ব্যবসায়িক সফরে ছিলেন। পরে তারা বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে, তার (ফাওজুল কবির খান) অফিসে দেখা করেন।

তিনি বলেন, "পূর্বপরিচয় না থাকলেও আমরা এক ঘণ্টা খোলামেলা কথা বলি।" ফাওজুল কবির খান আরও যোগ করেন, "আমার অফিস থেকে যে নাশতা দেওয়া হয়েছিল, তিনি বিনয়ের সঙ্গে সেটি নেননি! তবে আমি তাঁর মধ্যে যে বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি, তা হলো দেশপ্রেম, যুক্তিহীন কোনো কিছু সহ্য না করার দৃঢ় মনোভাব, আর অনেক তথ্য একসঙ্গে গুছিয়ে বিশ্লেষণ করার অসাধারণ দক্ষতা। আমি আমার এই অনুভূতিগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে জানাই।"

মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান আরও বলেন, "আল্লাহর রহমতে, দেশ ও জাতির জন্যই বলা যায়, প্রধান উপদেষ্টা তাঁকে (শেখ বশিরউদ্দীন) দায়িত্ব দেন। আর তিনিও তা গ্রহণ করেন।"

উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, "দেশের অভ্যন্তরীণ পণ্যমূল্য স্থিতিশীলতা বজায় রাখা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল শুল্ক আলোচনায় তিনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন, সমালোচকদের হতাশ করে। আল্লাহ তাঁকে (বাণিজ্য উপদেষ্টা) হায়াতে তাইয়্যেবা দান করুন, যাতে তিনি দেশকে সেবা দিতে পারেন—হোক তা সরকারে বা বেসরকারি খাতে।"