জুলাই ৩১, ২০২৫, ১০:২০ পিএম
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের পূর্ববর্তী পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষিত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিতে হয়। এই নিয়ম স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সম্প্রতি, ইসি ২০২৪ সালের হিসাব জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ায় রাজনৈতিক দলগুলোর বর্তমান অবস্থা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রতিবেদন দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর আর্থিক কার্যকারিতার একটি চিত্র তুলে ধরেছে।
বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াতসহ ২৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নির্ধারিত সময়ে ২০২৪ পঞ্জিকা বছরের দলীয় আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দিয়েছে। ১০টি দল হিসাব জমা দেওয়ার জন্য সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বিকল্পধারা বাংলাদেশসহ ১১টি রাজনৈতিক দল হিসাব জমা অথবা সময় বাড়ানোর আবেদন করেননি। বৃহস্পতিবার ইসির জনসংযোগ পরিচালক মো. শরিফুল আলম এ তথ্য জানান।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পঞ্জিকা বছরের দলের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষিত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমানে ইসিতে ৫০টি দল নিবন্ধিত রয়েছে। বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি চলতি বছরে নিবন্ধন পাওয়ায় এ দলটির হিসাব জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই।
ইসি জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আবেদন জমা না দিতে পারায় ১০টি দল সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে। সেগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি ও বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি। যেসব দল নির্ধারিত সময়ে জমা দেয়নি এবং দলগুলোর সময় বাড়ানোর আবেদনের বিষয়টি কমিশন সভায় উপস্থাপন করা হবে। কমিশন ওইসব দলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে।
তবে ১১টি রাজনৈতিক দল নির্ধারিত সময়ে হিসাব জমা দেয়নি এবং সময় বাড়ানোরও কোনো আবেদন করেনি। ওই দলগুলো হচ্ছে- কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, জাকের পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন), গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ ন্যাপ, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাসদ ও গণসংহতি আন্দোলন।
২০০৮ সালের আইন অনুযায়ী, কোনো দল পরপর তিনবার আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সেই দলের নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে ইসি। সম্প্রতি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় এক যুগ পর আয়-ব্যয়ের হিসাব দিল দলটি। অন্যদিকে, নিবন্ধন স্থগিত হওয়ায় প্রথমবারের মতো হিসাব দেয়নি আওয়ামী লীগ।
আপনার মতামত লিখুন: