জুলাই ৩১, ২০২৫, ০৮:৪০ পিএম
২০১৯ সালে ফরিদপুরে ইজিবাইক চালক শওকত মোল্লার নৃশংস হত্যাকাণ্ড এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল। একটি ইজিবাইক ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করা হয়। এই ধরনের অপরাধ সমাজে নিরাপত্তাহীনতা বাড়িয়ে তোলে। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পর অবশেষে এই চাঞ্চল্যকর মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এই রায় বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে এবং অপরাধীদের জন্য একটি কঠোর বার্তা দিয়েছে।
ফরিদপুরে চাঞ্চল্যকর ইজিবাইক চালক শওকত মোল্লা হত্যা মামলায় ৫ জনকে ফাঁসির আদেশ ও একজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (১ম আদালত) মাকসুদুর রহমান এ রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিদের মধ্যে ৫ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকা থেকে শওকত মোল্লার ইজিবাইক ভাড়া করে অভিযুক্তরা। এ সময় তারা শওকতকে নিয়ে ফরিদপুরের বিভিন্ন স্থানে যান। পরে এক সময় শওকত মোল্লাকে শহরের বাইপাস এলাকায় নিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে ইজিবাইকটি নিয়ে পালিয়ে যান। পরদিন সকালে শওকতের লাশ একটি ধানখেতে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা আয়নাল শেখ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামিদের শনাক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি শেষে ৫ জনকে ফাঁসির আদেশ ও প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ বছরের বিনাশ্রম এবং একজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১০ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন আদালত।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার মেহেদী হাসান, মো. জনি মোল্যা, রাসেল শেখ, ওয়্যারলেস পাড়া এলাকার রাজেস রবি দাস, গোয়ালচামট এলাকার রবিন মোল্যা। এদের মধ্যে রাসেল শেখ পলাতক রয়েছে। ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত হলেন- ইজিবাইক ক্রেতা রাজবাড়ী জেলার মজলিশপুর এলাকার মুরাদ শেখের ছেলে বাদশা শেখ।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট চৌধুরী জাহিদ হাসান খোকন বলেন, “আসামিরা শওকতকে হত্যা করে তার ইজিবাইকটি নিয়ে বিক্রি করে দেন। তা আদালতের কাছে স্বীকার করেছেন তারা। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।”
আপনার মতামত লিখুন: