বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

তালাক দেওয়া স্ত্রীকে ধর্ষণ, আদালতে মামলা

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৭:০৪ পিএম

তালাক দেওয়া স্ত্রীকে ধর্ষণ, আদালতে মামলা

ছবি- সংগৃহীত

যৌন সহিংসতা এবং নারীর প্রতি নির্যাতন বাংলাদেশের সমাজে একটি গুরুতর সমস্যা। বিবাহবিচ্ছেদের পরও সাবেক স্বামী কর্তৃক ধর্ষণের মতো ঘটনা আইনের চোখে অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। এমন ঘটনায় ভুক্তভোগীর ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা সমাজের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সম্প্রতি বরগুনায় এমনই এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে, যেখানে তালাকপ্রাপ্তা এক নারী তার সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে আদালতে মামলা করেছেন।

তালাক দেওয়া স্ত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন দুই সন্তানের জননী।

বুধবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও জেলা জজ লায়লাতুল ফেরদৌস মামলাটি গ্রহণ করে আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) এজাহারভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার একমাত্র আসামি পটুয়াখালী জেলার পঁচাকোড়ালিয়া গ্রামের সেকান্দার আলী আকনের ছেলে আবদুল মান্নান (৪৫)।

মামলার বিস্তারিত অভিযোগ: এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর রনজুয়ারা সিপু। জানা যায়, বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার দুই সন্তানের জননী ওই ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন—তার স্বামী আবদুল মান্নানের সংসারে তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে। বাদী তার বাবার বাড়ি সন্তান দুইটি নিয়ে জুন মাসের শেষ দিকে বেড়াতে আসেন। ১ জুলাই সন্ধ্যায় আসামি বাদীর বাবার বাড়িতে আসেন। রাতে বাদীর সঙ্গে থেকে সকালে মান্নান ঢাকায় চলে যান। পরে ৭ জুলাই পোস্ট অফিসের ডাকপিয়ন বাদীকে একটি রেজিস্ট্রি চিঠি দেন। এতে দেখা যায়—আসামি ২৫ জুন তাকে রেজিস্ট্রি তালাক দিয়েছেন।

বাদী তার অভিযোগে বলেন, "আমার স্বামী ২৫ জুন আমাকে তালাক দিয়ে গোপন রেখে ১ জুলাই বাবার বাড়ি এসে আমাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। আমি জানতাম মান্নান আমার স্বামী। তিনি জানতেন আমি তার স্ত্রী নই। আমাকে তালাক দিয়ে সেই তালাক গোপন করে আমাকে ধর্ষণ করেছেন।"

আসামির অস্বীকৃতি: তবে এই অভিযোগের বিষয়ে আসামি আবদুল মান্নান বলেন, "বাদীর অভিযোগ সঠিক নয়। তালাক দেওয়ার পরে আমি শ্বশুরবাড়ি যাইনি। বাদীর সঙ্গে আমার দেখাও হয়নি।"

আদালত মামলাটি গ্রহণ করায় এবং তদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় এই ঘটনার প্রকৃত সত্য উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।