দেশের বাজারে কমেছে স্বর্ণের দাম

বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামের ওঠানামার কারণে বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারেও এই মূল্যবান ধাতুর দাম নিয়মিত সমন্বয় করা হয়। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) বিশ্ববাজারের সাথে তাল মিলিয়ে দেশের অভ্যন্তরে স্বর্ণের মূল্য নির্ধারণ করে। সম্প্রতি বিশ্ববাজারে অস্থিরতা কমায় এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক কারণ বিবেচনা করে বাজুস আবারও স্বর্ণের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে।

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমেছে। বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) প্রতি ভরিতে ১ হাজার ৫৭৪ টাকা কমিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে, যা আজ বুধবার (৬ আগস্ট) থেকে কার্যকর হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এখন ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা।

‘সবজিই যদি এত দামে কিনে খেতে হয় তাহলে মাছ-মাংস কিনবো কিভাবে,

বিস্তারিত পড়ুন

বৃষ্টিতে সবজির দাম চড়া, ডিম-মাছেও নেই স্বস্তি

বিস্তারিত পড়ুন

সর্বশেষ গত ২৪ জুলাই রাতে বাজুসের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। ওই সময় দাম বাড়ানোর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে এই দাম কমানো হলো। নতুন দাম অনুযায়ী, বিভিন্ন ক্যারেটের স্বর্ণের দাম নিম্নরূপ:

• ২২ ক্যারেট: প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৭১ হাজার ৬০১ টাকা।

• ২১ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৩ হাজার ৭৯৮ টাকা।

• ১৮ ক্যারেট: প্রতি ভরি ১ লাখ ৪০ হাজার ৪০০ টাকা।

• সনাতন পদ্ধতি: প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ১২৭ টাকা।

বাজুস জানিয়েছে, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সাথে বাধ্যতামূলকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৪৫ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৯ বার দাম বেড়েছে এবং ১৬ বার কমেছে। অন্যদিকে, গত বছর মোট ৬২ বার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল।

তবে স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে রুপার দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮১১ টাকায়। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭২৬ টাকায়।