আগস্ট ৮, ২০২৫, ১১:৪৮ এএম
শ্রাবণ মাসের শেষ দিকে এসেও অবিরাম বৃষ্টিপাত দেশের সবজি উৎপাদন এবং সরবরাহ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করছে। এর ফলে রাজধানীসহ সারাদেশের নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজ, ডিম, তেল, কাঁচামরিচ, মুরগি এবং অন্যান্য পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে, যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।
অবিরাম বৃষ্টি এবং সরবরাহজনিত সমস্যার কারণে রাজধানী ঢাকার নিত্যপণ্যের বাজারে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ পণ্যের দাম বেড়েছে, যার ফলে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভোক্তাদের ওপর বাড়তি চাপ তৈরি হয়েছে। শুক্রবার (৮ আগস্ট) ঢাকার বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
-
ডিম: প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৫০ টাকায়, যা ডজনপ্রতি ১৪০-১৪৫ টাকা।
-
পেঁয়াজ: দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৮৫ টাকায় পৌঁছেছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০-৬৫ টাকা।
-
তেল: খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৭২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৬২ টাকা। পাম অয়েলের দামও বেড়েছে।
-
মাংস ও মুরগি: ব্রয়লার মুরগি ১৬০ টাকা কেজি, পাকিস্তানি মুরগি ৩০০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫৫০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
-
মাছ: ইলিশ মাছের দাম সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। বড় সাইজের ইলিশ ২১০০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
-
অন্যান্য পণ্য: খোলা ময়দার দাম বেড়ে ৬৫ টাকা হয়েছে। মাঝারি মানের মসুর ডাল ১৩৫ টাকা এবং কাঁচামরিচ ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
-
সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহে খোলা ময়দা, সয়াবিন তেল, পাম অয়েল, মসুর ডাল, ব্রয়লার মুরগি, পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং ডিমের দাম বেড়েছে। তবে আলুর দাম কিছুটা কমে প্রতি কেজি ২০ থেকে ৩০ টাকায় নেমে এসেছে।
বিক্রেতারা দাম বৃদ্ধির জন্য আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব এবং সরবরাহ সংকটকে দায়ী করছেন, আর ক্রেতারা বলছেন, বাজার তদারকির অভাবে একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।