আগস্ট ৬, ২০২৫, ০৫:১৭ পিএম
হলিউডের বক্স অফিস বর্তমানে নতুন ও পুরোনো সব সিনেমার জমজমাট প্রতিযোগিতায় মুখরিত। অ্যাকশন, ফ্যান্টাসি, অ্যাডভেঞ্চার ও সুপারহিরো ঘরানার সিনেমাগুলো দারুণ সাফল্য দেখাচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে তারকা অভিনেতা ব্র্যাড পিট তার নতুন রেসিং ড্রামা 'এফ১' দিয়ে দারুণ চমক দেখালেন। এই সিনেমাটি বক্স অফিসে তার ক্যারিয়ারের নতুন রেকর্ড গড়েছে।
হলিউড সুপারস্টার ব্র্যাড পিট অভিনীত রেসিং ড্রামা ‘এফ১’ বিশ্বজুড়ে ৫৪৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে বক্স অফিসে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এটি তার দীর্ঘ অভিনয় জীবনের সর্বোচ্চ আয় করা সিনেমা হিসেবে রেকর্ড গড়েছে। এর আগে এই স্থান দখলে ছিল তার অভিনীত ২০১৩ সালের ব্লকবাস্টার 'ওয়ার্ল্ড ওয়ার জেড' সিনেমাটি, যা ৫৪০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছিল।
'এফ১' সিনেমাটি ইতোমধ্যে অ্যাপলের সব থেকে সফল প্রেক্ষাগৃহভিত্তিক সিনেমা হয়ে উঠেছে। এই সিনেমাটি বক্স অফিসে আয়ের দিক থেকে মার্টিন স্করসেজির ‘কিলারস অব দ্য ফ্লাওয়ার মুন’ (১৫৮ মিলিয়ন ডলার) এবং রিডলি স্কটের ‘নেপোলিয়ন’ (২২১ মিলিয়ন ডলার)-এর মতো বড় বাজেটের সিনেমাকেও পেছনে ফেলেছে।
চলতি বছরের বক্স অফিসে যে নতুনদের সঙ্গে পুরোনো সিরিজের জৌলুশ আর পরিচিত মুখদের উপস্থিতি ছিল, তার ভিড়ে ব্র্যাড পিটের এই দারুণ সাফল্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
আয়ের দিক থেকে 'এফ১' সিনেমার চেয়ে সামান্য এগিয়ে আছে 'সুপারম্যান' নামের সিনেমাটি, যা বিশ্বব্যাপী ৫৫০ মিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছুঁয়েছে। এর মধ্যে ৩১৬ মিলিয়ন ডলার এসেছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা থেকে, বাকি ২৩৫ মিলিয়ন ডলার আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এসেছে। তবে 'সুপারম্যান' ডিসি ফিল্ম ইউনিভার্সের সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে সফল সিনেমা হলেও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। সাধারণত বড় বাজেটের সিনেমাগুলোতে আন্তর্জাতিক বাজারের অবদান বেশি থাকে, কিন্তু এই ক্ষেত্রে প্রায় ৬০ শতাংশ আয় এসেছে শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা থেকে।
ব্র্যাড পিটের 'এফ১' সিনেমাটি অ্যাকশন, ফ্যান্টাসি, অ্যাডভেঞ্চার এবং সুপারহিরো ঘরানার সিনেমার সাফল্যের তালিকায় নতুন সংযোজন হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।