আগস্ট ১, ২০২৫, ১০:৫৯ পিএম
২০২৪ সালের জুলাই মাসের ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই আন্দোলনের পর বিভিন্ন নামে একাধিক গ্রুপ নিজেদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ হিসেবে দাবি করছে। সম্প্রতি, ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার দাবিতে শাহবাগে একটি দলের চলমান অবরোধে আরেকটি দলের বিরোধিতার কারণে সংঘর্ষ হয়েছে। এই ঘটনাটি আন্দোলনের উত্তরাধিকার এবং কর্তৃত্ব নিয়ে চলমান বিভেদ ও সংঘাতের ইঙ্গিত দেয়। পুলিশের হস্তক্ষেপ ছাড়া এই ধরনের সংঘাত জনজীবনে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি করতে পারে।
রাজধানীর শাহবাগে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার দাবিতে চলমান অবরোধে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিজেদের ‘প্রকৃত জুলাই যোদ্ধা’ দাবি করে একদল ব্যক্তি অবরোধকারীদের সরাতে গেলে এ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকে ‘জুলাই শহীদ পরিবার ও জুলাই যোদ্ধা (আহত)’ ব্যানারে শাহবাগ মোড় অবরোধ করা হয়। তারা নিজেদের ‘জুলাই যোদ্ধা’ বলে পরিচয় দেন। টানা ৩২ ঘণ্টা অবরোধের পর শুক্রবার সন্ধ্যায় আরেকটি দল সেখানে উপস্থিত হয়ে দাবি করে, তারাই ‘প্রকৃত জুলাই যোদ্ধা’।
তারা জনগণের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে ব্যারিকেড সরিয়ে দিতে উদ্যোগী হন এবং একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষের সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে শাহবাগ মোড় থেকে ব্যারিকেড সরিয়ে দিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এ বিষয়ে পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, “গতকাল সকাল থেকে একটি গ্রুপ নিজেদের জুলাই যোদ্ধা দাবি করে শাহবাগে রাস্তা অবরোধ করে রেখেছিল। তাদের কারণে শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। আজ সন্ধ্যায় জুলাই যোদ্ধা দাবি করে আরেকটি গ্রুপ শাহবাগ মোড়ে আসে এবং দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। পরে জনগণের জানমাল রক্ষার্থে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুই গ্রুপকে সরিয়ে দেয়। এখন রাস্তা সম্পূর্ণ সচল আছে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে শাহবাগ মোড়ে পুনরায় যান চলাচল শুরু হয়েছে।”