আগস্ট ২, ২০২৫, ১১:০৩ এএম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে নিজেদের ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যা রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে লেখেন, "জুলাই ঘোষণাপত্র এখন বাস্তবতা।
৫ আগস্টের মধ্যেই ঘোষিত হবে ঘোষণাপত্র। ঘোষণাপত্র ইস্যুকে গণআকাঙ্ক্ষায় বাঁচিয়ে রেখে এটা বাস্তবায়নের পথ সুগম করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।" একই সময়ে, উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি সংক্ষিপ্ত পোস্ট দিয়ে লেখেন, "জুলাই ঘোষণাপত্র আসছে..."। তাদের এই স্ট্যাটাসগুলো নিশ্চিত করছে যে, বহু প্রতীক্ষিত এই ঘোষণাপত্রটি প্রকাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
এদিকে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে সংলাপের পর 'জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫' ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সরকারি একটি দায়িত্বশীল সূত্রমতে, আগামী ৫ আগস্টের আগেই যেকোনো দিন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই খসড়াটি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করবেন।
মতামত জানানোর জন্য ইতোমধ্যে এই খসড়ার একটি কপি বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) পাঠানো হয়েছে। খসড়াটি সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রেখে তৈরি করা হয়েছে যাতে কোনো ধরনের বিতর্ক এড়ানো যায়। এতে মোট ২৬টি দফা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে জুলাই মাসে অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়, যদিও প্রাথমিক খসড়ায় বলা হয়েছিল যে এই অভ্যুত্থান হয়েছে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে 'জুলাই ঘোষণাপত্র' প্রকাশের ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। প্রাথমিকভাবে সরকার ঘোষণাপত্র তৈরির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল না, তবে পরবর্তীতে সরকারের পক্ষ থেকেই এ উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানানো হয়। সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত এবং ঐকমত্য কমিশনের আলোচনার ভিত্তিতে গঠিত হয় 'জুলাই ঘোষণাপত্র' ও 'জুলাই জাতীয় সনদ'-এর এই খসড়া। এবার দুই উপদেষ্টার স্ট্যাটাস সেই ঘোষণা বাস্তবায়নের ইঙ্গিত দিচ্ছে।