আগস্ট ২, ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ আগামী ৫ আগস্টের আগেও ঘোষিত হতে পারে। তিনি বলেছেন, এই ঘোষণাপত্র জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের জন্য একটি দালিলিক প্রমাণ হিসেবে কাজ করবে, যেখানে এই অভ্যুত্থানের কারণ, আকাঙ্ক্ষা এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপকল্প তুলে ধরা হবে।
শনিবার (২ আগস্ট, ২০২৫) সকালে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় আয়োজিত পুনর্জাগরণ শোভাযাত্রা শেষে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহফুজ আলম বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্রের মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান যারা করেছেন, একটি ডিক্লারেশনের মাধ্যমে তাদের একটি দালিলিক প্রমাণ থাকবে। আসলে আমরা কোন কোন আকাঙ্ক্ষা এবং কোন কোন ঐতিহাসিক পরিস্থিতির কারণে এখানে এসে উপনীত হয়েছিলাম, জুলাই গণ-অভ্যুত্থান কেন সংঘটিত হয়েছিল এবং আমরা কোন দিকে যাত্রা করতে চেয়েছিলাম, তার দালিলিক প্রমাণ থাকবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে বাংলাদেশকে চেয়েছিলাম, সেই আকাঙ্ক্ষার একটি পেপার ওয়ার্ক আমাদের থাকা দরকার। একটি দালিলিক প্রমাণ থাকা দরকার। সেই দালিলিক প্রমাণটা হচ্ছে জুলাই ঘোষণাপত্র।” তার মতে, জুলাই ঘোষণাপত্রে “আমাদের যে আকাঙ্ক্ষাটা ছিল, যে বাংলাদেশ পরিবর্তিত হবে—সেটার একটি রূপকল্প জুলাই ঘোষণাপত্রে থাকবে।”
ঘোষণাপত্রে সব দলের স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছেন মাহফুজ আলম। তবে তিনি মনে করেন, “মূলত যেই যেই ব্রড বিষয়গুলোতে সব দলের কনসেন্সাস আছে, ঐকমত্য আছে, ঐতিহাসিক এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য সেই বিষয়গুলো এখানে সন্নিবেশিত অলরেডি হয়েছে।”