আগস্ট ৪, ২০২৫, ১১:৩৩ এএম
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বিরুদ্ধে আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে মামলার অন্যতম আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়।
গত বছরের জুলাই ও আগস্ট মাসের গণ-অভ্যুত্থানে দেশব্যাপী ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে 'জুলাই গণহত্যা' হিসেবে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা দায়ের করা হয়। গত ১০ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই তিনজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এই মামলায় শেখ হাসিনা ও কামাল পলাতক রয়েছেন, তবে আল-মামুন কারাগারে আটক আছেন। তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে নয়, বরং দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেছিলেন, যা আদালত মঞ্জুর করেন।
এর আগে রোববার (৩ আগস্ট) এই মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। সেদিন সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষী হিসেবে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণের (২৩) সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। তিনি সেই বিভীষিকাময় দিনের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ বিচার দাবি করেন। রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবীরাও শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ সাজা চেয়ে তাদের বক্তব্য পেশ করেন।
আজ সোমবার (৪ আগস্ট) মামলার দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রথম দিনের মতো আজও ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল সাক্ষ্যগ্রহণ করছেন। তবে এবারের সাক্ষী কে হবেন, তা এখনো জানা যায়নি। তবে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আদালতে আনা হয়েছে। যেহেতু তিনি রাজসাক্ষী হয়েছেন, তাই তার সাক্ষ্য মামলার বিচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। যেহেতু শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক, তাই তাদের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মামলা পরিচালনা করছেন। এই মামলার বিচারকাজ বাংলাদেশ টেলিভিশনে (বিটিভি) সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।