সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‍‍`ঈশান‍‍`-এর প্রভাবে ১০ জেলায় বন্যার পূর্বাভাস।

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৪, ২০২৫, ০৪:৪০ পিএম

শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় ‍‍`ঈশান‍‍`-এর প্রভাবে ১০ জেলায় বন্যার পূর্বাভাস।

ছবি- সংগৃহীত

শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় 'ঈশান'-এর প্রভাবে দেশের ১০টি জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে প্রকাশিত এক পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়। আগামী ২৪ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের বেশ কিছু নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

 বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি) শনিবার (২ আগস্ট) তাদের ফেসবুক পেজে শক্তিশালী বৃষ্টিবলয় 'ঈশান'-এর আগমনের কথা জানিয়েছিল। এটি চলতি বছরের দশম ও ষষ্ঠ মৌসুমী বৃষ্টিবলয়, যা দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকায় কম-বেশি বৃষ্টিপাত ঘটাতে পারে। এই বৃষ্টিবলয়ের প্রভাবে দেশের অভ্যন্তরে এবং উজানে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে, যার কারণে দেশের প্রধান প্রধান নদীগুলোর পানি বাড়ছে।



বন্যার ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো: বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রতিবেদন অনুযায়ী, আসন্ন বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে যে ১০টি জেলা, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে—

  • রংপুর বিভাগ: লালমনিরহাট, নীলফামারি, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা। এখানে তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী দুই দিনের মধ্যে তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।

  • সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ: সিলেট, সুনামগঞ্জ, শেরপুর, নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ। সারিপোয়াইন, সোমেশ্বরী, জিঞ্জিরাম, ভুলাই ও কংস নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।

ভারী বৃষ্টিপাতের চিত্র: গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে ঢাকা ও রংপুর বিভাগে মাঝারি থেকে ভারী এবং সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের উজানে ভারতের মেঘালয় ও অরুণাচল প্রদেশেও ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে, যার প্রভাব দেশের নদীগুলোতে পড়ছে। আগামী দুই দিন রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উজানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশে এবং আগামী তিন দিন সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের উজানে আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা প্রদেশে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

নদীর অবস্থা: তিস্তা, ধরলা, দুধকুমার, সারিপোয়াইন, সোমেশ্বরী, জিঞ্জিরাম, ভুলাই, কংস, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদ-নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও পদ্মা ও গঙ্গা নদীর পানি সমতলও বৃদ্ধি পাবে, তবে তা বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

প্রস্তুতি ও সতর্কতা: বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে নিম্নাঞ্চলের মানুষজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে জরুরি ত্রাণ ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।