সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

সাহসী সাংবাদিকতার সম্মাননা পেলেন যুগান্তরের মোসাদ্দেকুর।

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৫, ২০২৫, ১১:১৮ এএম

সাহসী সাংবাদিকতার সম্মাননা পেলেন যুগান্তরের মোসাদ্দেকুর।

ছবি- সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাহসী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দৈনিক যুগান্তরের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রতিনিধি মোসাদ্দেকুর রহমানকে ‘সাহসী সাংবাদিক সম্মাননা’ দিয়েছে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট। রোববার (৩ আগস্ট) তথ্য ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাকে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠান ও সম্মাননা প্রদান: গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পেশাগত দায়িত্ব পালনে ইতিবাচক ভূমিকার জন্য এই সম্মাননা দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাউসার আহম্মেদ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ। এ সময় তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা নিজামুল কবীরসহ গণমাধ্যমের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


আহত হওয়ার স্মৃতিচারণ ও দাবি: সম্মাননা গ্রহণ করে মোসাদ্দেকুর রহমান তার বক্তৃতায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালীন ১৫ জুলাই রাতে আহত হওয়ার স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বলেন, “যখন জাতির বিবেকেরা নীরব ছিল, তখন ক্যাম্পাস সাংবাদিকরা লাঠিপেটা খেয়ে, গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড ও পেট্রল বোমার মুখে দাঁড়িয়েও প্রতিবাদের চিত্র তুলে ধরেন।” তিনি আরও বলেন, “আন্দোলনকারী আর সাংবাদিকদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করা হয় নাই। ছাত্রলীগ এবং পুলিশ আমাদের মারার ক্ষেত্রে কোনো পার্থক্য করে নাই। আমরা আন্দোলনকারীদের পাশে থেকে সমানতালে মার খেয়েছি ও আহত হয়েছি।” তিনি সেই রাতে আহত অন্য সাংবাদিকদের কথাও উল্লেখ করেন।

অবাস্তবায়িত প্রস্তাবনা নিয়ে হতাশা: মোসাদ্দেকুর রহমান তার বক্তব্যে গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের একটি প্রস্তাবনাও এখনো বাস্তবায়ন না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “আমরা স্বীকৃতি চাই না, চাই ন্যূনতম বেতন স্কেল, ন্যায্য অধিকার, নিরাপত্তা ও পেশাগত সুযোগ।” একই সঙ্গে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সাহসী ও আহত সাংবাদিকদের সম্মানিত করার জন্য তিনি বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টকে ধন্যবাদ জানান।