সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

চট্টগ্রামের বৃক্ষমেলায় লংগান, হরীতকীর পাশে বাহারি ক্যাকটাস

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১, ২০২৫, ১০:২৯ এএম

চট্টগ্রামের বৃক্ষমেলায় লংগান, হরীতকীর পাশে বাহারি ক্যাকটাস

ছবি- সংগৃহীত

চট্টগ্রাম নগরের লালদিঘি মাঠজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। ফুল, ফলসহ নানা প্রজাতির বনজ গাছের চারা নিয়ে শুরু হয়েছে বৃক্ষমেলা। চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের উদ্যোগে গত সোমবার থেকে শুরু হওয়া এই মেলায় ২ হাজার ৬৫ প্রজাতির ফলদ, বনজ, ওষধি ও শোভাবর্ধনকারী চারা এবং ২১০ প্রজাতির দেশি-বিদেশি ক্যাকটাস প্রদর্শিত হচ্ছে।

 

মেলায় বিশেষ আকর্ষণ

মেলায় প্রবেশ করলেই দেখা যায় নানা জাতের গাছের সমারোহ। যেমন:

  • লংগান: ১৩ বছর বয়সী লংগান গাছে থোকায় থোকায় বাদামি খোসার গোলাকৃতির ফল ধরেছে, যা গোল লিচু বা কাঠলিচু নামেও পরিচিত। চিটাগং নার্সারিতে Longan-এর ছোট থেকে মাঝারি আকারের গাছ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

  • ক্যাকটাস ও এয়ার প্ল্যান্ট: গ্রিন বি নামে একটি প্রতিষ্ঠান মোট ১২০টি প্রজাতির ক্যাকটাস এনেছে, যার মধ্যে মেক্সিকোর গোল্ডেন ব্যারেল, ম্যামেলারিয়া হান্নিয়ানাসহ ছোট-বড় নানা আকৃতির ক্যাকটাস উল্লেখযোগ্য। এদের দাম ২০০ থেকে ২ হাজার টাকা। এছাড়াও মাটি ছাড়া বাতাসে বেড়ে ওঠা শোভাবর্ধনকারী এয়ার প্ল্যান্টও পাওয়া যাচ্ছে। গ্রিন বির কর্ণধার অর্ক আকিব জানান, তারা মূলত অনলাইনে এসব বিক্রি করেন এবং মেলায় ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন।

  • বনসাই: ইয়েমেনের এরাবিকাম হালক নামে একটি বনসাই, যাতে ফুল ফোটে, তার দাম রাখা হয়েছে তিন হাজার টাকা। সাধারণ বনসাই ৩০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

  • দেশি ও বিদেশি ফল: হরীতকী, আমলকী, বহেরা, মাল্টা, কমলা, শরিফা, আতা ইত্যাদি দেশি-বিদেশি ফলের গাছও মেলায় মিলছে। এগুলো থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামসহ বিভিন্ন দেশের প্রজাতি। আকারভেদে ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে এসব ফলের গাছ।

  • বনজ ও ফুলের গাছ: বাহদুর নার্সারি, বাংলাদেশ নার্সারি ও ফতেয়াবাদ নার্সারিতে ফুল-ফলের পাশাপাশি বনজ গাছও রয়েছে। ৫০ টাকা থেকে শুরু এসব চারার দাম। ফুলের মধ্যে কামিনী, শিউলি, গন্ধরাজ, গাঁদা, সূর্যমুখী ছাড়াও বিদেশি নানা প্রজাতি রয়েছে।

দর্শনার্থীদের আগ্রহ ও বন বিভাগের লক্ষ্য

মেলা দেখতে আসা ফিরিঙ্গিবাজারের কলেজছাত্র দীপ্ত দে জানান, তিনি বেশ কিছু ফল ও ফুলের গাছ কিনেছেন ছাদের বাগান করার জন্য। উত্তর বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) এস এম কায়চার বলেন, "বন বিভাগ এই মেলার মাধ্যমে মানুষকে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করে আসছে প্রতিবছর। এবারও মেলায় মানুষের বিপুল সমাগম হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।"