আগস্ট ৪, ২০২৫, ১২:৩৮ এএম
জুলাই আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থী আসহাবুল ইয়ামিনকে পুলিশের সাঁজোয়া যানের (এপিসি) ওপর থেকে টেনে-হিঁচড়ে নিচে ফেলে মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনায় অবশেষে অভিযুক্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেফতারি পরোয়ানা বলে রোববার (৩ আগস্ট) তাকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে আটক করা হয়।
গত বছর ১৮ জুলাই সাভারে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শিক্ষার্থী আসহাবুল ইয়ামিনকে পুলিশের একটি এপিসির ওপর থেকে নিচে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় ওঠে। অনেকেই অভিযোগ করেন, ইয়ামিনকে পরিকল্পিতভাবে ফেলে দিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। ইয়ামিন রাজধানীর মিরপুরের মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর এএসআই মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জানান, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে রোববার সকাল ৬টার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন মুরাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। গ্রেফতারের পর তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইয়ামিন হত্যায় অভিযুক্ত এএসআই মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। গ্রেফতারের মাধ্যমে এই মামলার তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়া আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
এএসআই মোহাম্মদ আলীর গ্রেফতারের খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকে এই গ্রেফতারকে 'ন্যায়বিচারের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ' বলে সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে কেউ কেউ বলছেন, এই গ্রেফতার আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল। তারা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।