সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

এক ট্রলারেই ৬০ মণ ইলিশ, হাসি ফিরেছে জেলেদের মুখে

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৭, ২০২৫, ০১:৪৯ পিএম

এক ট্রলারেই ৬০ মণ ইলিশ, হাসি ফিরেছে জেলেদের মুখে

ছবি- সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে ইলিশের খরায় বিপর্যস্ত জেলেদের মুখে হাসি ফিরেছে। গত বুধবার থেকে বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। এর মধ্যে একটি ট্রলারে রেকর্ড পরিমাণ ৬০ মণ ইলিশ ধরা পড়েছে, যা ৩৫ লাখ টাকারও বেশি মূল্যে বিক্রি হয়েছে। এতে পটুয়াখালীর বৃহত্তর মৎস্য বন্দর আলীপুর ও মহিপুরসহ উপকূলের জেলে পল্লীতে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) আলীপুর-মহিপুর ও কুয়াকাটার মৎস্য বন্দরগুলোতে সরেজমিনে দেখা যায়, ঘাটগুলো ইলিশসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছে ভরে গেছে। মৎস্য ব্যবসায়ীরা হাঁকডাক দিয়ে মাছ বিক্রি করছেন। মৎস্য পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই হঠাৎ করে এতো মাছ পাওয়ায় আনন্দিত।


কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের পায়রা বন্দর এলাকায় এফবি জামাল নামের একটি ট্রলারের মাঝি জাহাঙ্গীর হোসেনের জালে এই বিপুল পরিমাণ ইলিশ ধরা পড়ে। তিনি জানান, চারদিন আগে ১৮ জন জেলে নিয়ে গভীর সমুদ্রে গিয়েছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় তারা প্রায় ৮ হাজার ইলিশ নিয়ে ঘাটে ফিরেছেন। মাছগুলো আলীপুরের মনি ফিস মৎস্য আড়তে নিলামের মাধ্যমে সাড়ে ৩৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মাঝি জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, বর্তমানে সমুদ্রে ইলিশের প্রাচুর্য দেখা যাচ্ছে। তবে বড় ইলিশের তুলনায় ছোট ইলিশ বেশি ধরা পড়ছে।

আলীপুর মৎস্য বন্দরের আড়তদার জলিল হাওলাদার বলেন, গত তিন-চার মাস ধরে মাছের দেখা মিলছিল না। টানা বৈরী আবহাওয়ার কারণে জেলেরা হতাশ ছিলেন। কিন্তু এখন অধিকাংশ ট্রলারই মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরছে।

কলাপাড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “সাগরে বেশ কিছুদিন ইলিশের খরা চলছিল। বর্তমানে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। বৃষ্টি থাকলে ইলিশের পরিমাণ আরও বাড়বে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে জেলেরা পর্যাপ্ত মাছ নিয়ে ঘাটে ফিরতে পারবেন।