আগস্ট ৮, ২০২৫, ০৪:০৭ পিএম
দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে অব্যবস্থাপনা, রোগীদের হয়রানি এবং স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। এই সমস্যার সমাধানে সরকারি কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার প্রতিবাদে বরিশালের ছাত্র-জনতা আন্দোলনে নেমেছে। তাদের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) তারা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বসেছে, যা জনমনে তীব্র ক্ষোভের পাশাপাশি আন্দোলনের যৌক্তিকতা নিয়ে আলোচনা তৈরি করেছে।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে অব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট ভাঙার দাবিতে আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) বরিশালের ছাত্র-জনতা ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন মহাসড়ক আটকে দেয় আন্দোলনকারীরা। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয় এবং যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন।
আন্দোলনের সংগঠক মহিউদ্দিন রনি বলেন, "সরকারি হাসপাতালে সিন্ডিকেটের কারণে মানুষ চিকিৎসা পায় না। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। ১০ দিন ধরে আন্দোলন করলেও মন্ত্রণালয় আমাদের কথা শুনছে না, তাই আমরা বরিশাল ব্লক করতে বাধ্য হয়েছি।"
আরেক আন্দোলনকারী ব্লগার কাফি বলেন, "আমরা রাস্তায় নেমেছি, স্বাস্থ্যখাতের সংস্কার ছাড়া আমরা ঘরে ফিরব না।"
আন্দোলনকারীরা জানান, তারা গত ১২ দিন ধরে শেবাচিম হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন ও ব্লকেড কর্মসূচি পালন করে আসছেন। কিন্তু কর্তৃপক্ষের কোনো সাড়া না পাওয়ায় তারা মহাসড়ক অবরোধের মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন।
এই আন্দোলনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ব্রজমোহন কলেজ, হাতেম আলী কলেজ এবং বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছে। এছাড়া অনেক ভুক্তভোগী রোগী ও তাদের স্বজনরাও আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন।
অবরোধের কারণে মহাসড়কে আটকে পড়া যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের একজন বলেন, "ঢাকা থেকে নির্বিঘ্নে বরিশাল পর্যন্ত এসেও নথুল্লাবাদে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে আছি। এ কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছি।"
আন্দোলনকারীরা যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দাবি মানা না হচ্ছে, ততক্ষণ অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।