শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২
বাজারদর

রাজধানীতে বাড়লো মুরগি ও কাঁচা মরিচের দাম

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ১৮, ২০২৫, ১১:৪৮ এএম

রাজধানীতে বাড়লো মুরগি ও কাঁচা মরিচের দাম

গত প্রায় দেড় সপ্তাহ ধরে নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টির কারণে দেশের বাজারে মুরগি ও কাঁচা মরিচের দামে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লারসোনালি মুরগির দাম প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। একই সঙ্গে কাঁচা মরিচের দামও অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সাধারণ ভোক্তাদের দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার, কাঁঠালবাগান বাজার এবং কারওয়ান বাজার ঘুরে এবং খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য জানা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৫০-১৬০ টাকা। একইভাবে, সোনালি মুরগির দাম ২৯০-৩০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩০০-৩১০ টাকায় পৌঁছেছে। তবে স্বস্তির খবর হলো, ফার্মের মুরগির ডিমের দাম স্থিতিশীল রয়েছে; প্রতি ডজন ডিম ১২০-১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাড়ামহল্লায় অবশ্য এই দাম আরও ৫-১০ টাকা বেশি।

কাঁচা মরিচের দামের উল্লম্ফন বিশেষভাবে চোখে পড়ার মতো। মৌসুমি বৃষ্টি শুরুর আগে, অর্থাৎ প্রায় দেড় সপ্তাহ আগে যেখানে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ৮০ থেকে ১২০ টাকায় পাওয়া যেত, এখন তা বেড়ে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমনকি গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দাম সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল। খুচরা বিক্রেতারা জানান, টানা বৃষ্টির কারণে বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেড়েছে।

কেবল মুরগি বা কাঁচা মরিচ নয়, অন্যান্য সবজির দামেও কেজি প্রতি ১০-২০ টাকা বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। বর্তমানে বাজারে বেশিরভাগ সবজির কেজি ৮০ টাকার আশেপাশে বিক্রি হচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা সাব্বির হাসান এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, "কাঁচা মরিচের দাম এক ধাক্কায় প্রায় দেড়শ টাকার মতো বেড়েছে। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এই দামে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে, যা একেবারেই অস্বাভাবিক। দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে সরকারের তদারকি বাড়ানো জরুরি।"

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নিম্নচাপজনিত আবহাওয়া এবং এর ফলে সরবরাহ চেইনে বিঘ্ন ঘটায় নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যগুলোর দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারের এমন অস্থিরতা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।