জুলাই ১৮, ২০২৫, ০৭:২৪ পিএম
বিশ্বজয়ী তারকা লিওনেল মেসির ভবিষ্যৎ ঘিরে ফুটবল বিশ্বে আবারও জোরদার গুঞ্জন শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামিতে থাকা এই আর্জেন্টাইন গ্রেটের চুক্তি শেষের পথে, আর এক্ষেত্রে বার্সেলোনায় তার সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তনের কথা জোরালো হয়ে উঠেছে – যেখানে এখনও তার জন্য দরজা খোলা রেখেছে কাতালান জায়ান্টরা। এই গুঞ্জনের পালে নতুন করে হাওয়া দিয়েছেন সাবেক লিভারপুল তারকা এমিল হেসকি।
ইন্টার মায়ামির সঙ্গে মেসির বর্তমান চুক্তিতে একটি ১২ মাসের এক্সটেনশন ক্লজ থাকলেও এখন পর্যন্ত সেটি সক্রিয় করা হয়নি। ফলে, যদি এই ক্লজ সক্রিয় না হয়, তাহলে চলতি বছরের শেষে তিনি একজন ফ্রি এজেন্ট হয়ে উঠবেন। বিশ্লেষকদের ধারণা, ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে শেষবারের মতো নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে পারেন মেসি।
সাবেক লিভারপুল স্ট্রাইকার এমিল হেসকি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মেসির ভবিষ্যৎ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, “প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষ ক্লাবগুলো মেসিকে পেলে মার্কেটিং দিক থেকে বিশাল লাভবান হবে। তবে মেসির বর্তমান ফিটনেস ও গেম টেম্পো দেখে মনে হয় না, কোনো ইংলিশ ক্লাবের খেলার ধরনে তিনি মানিয়ে নিতে পারবেন।”
হেসকি আরও যোগ করেন, “ফ্রান্স হয়তো তার জন্য সহজ হবে, কিন্তু ইতালির ফুটবল অনেক বেশি শারীরিক। আর বার্সেলোনা? ওটাই তার প্রাকৃতিক ঠিকানা। সে আর কোথায় যাবে?” হেসকির এই মন্তব্য মেসির বার্সেলোনায় ফেরার জল্পনাকে আরও উসকে দিয়েছে।
এদিকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে বার্সেলোনার ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম ক্যাম্প ন্যু। বার্সেলোনা চাইছে ক্লাবের সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায় রচনা করা এই কিংবদন্তিকে ফিরিয়ে এনে ঘরের মাঠে আবারও ইতিহাস গড়তে। ক্লাব কর্মকর্তারা বারবার ইঙ্গিত দিয়েছেন – মেসির জন্য দরজা সবসময় খোলা। বার্সেলোনার প্রেসিডেন্ট হুয়ান লাপোর্তা এবং কোচ জাভি হার্নান্দেজও অতীতে মেসির প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
তবে মেসি নিজে এখনও নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে মুখ খুলছেন না। ৩৮ বছর বয়সেও তার খেলায় ধরা পড়ে অতুলনীয় ছাপ। বিশ্বকাপ ঘিরে তার প্রস্তুতি ও আত্মবিশ্বাসেই বোঝা যায়, ফুটবল তাঁবু থেকে এখনও বিদায় বলার সময় হয়নি। ইন্টার মায়ামিতে তিনি নতুন অধ্যায় শুরু করেছিলেন, কিন্তু মনে হয়, ইতিহাস আবারও ঘুরে দাঁড়াতে চায়।
যদি সব ঠিকঠাক চলে, তাহলে ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে বার্সেলোনার ক্যাম্প ন্যুয়ে লিওনেল মেসির ‘হোমকামিং’ হতে পারে ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্ত। আর সেই অপেক্ষায় কাতালুনিয়াসহ গোটা ফুটবলবিশ্ব।
আপনার মতামত লিখুন: