শুক্রবার, ১৮ জুলাই, ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে মাছ শিকারের সময় চোরাকারবারি সন্দেহে তিন বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ১৮, ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে মাছ শিকারের সময় চোরাকারবারি সন্দেহে তিন বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া সীমান্তে মাছ শিকারের সময় চোরাকারবারি সন্দেহে তিন বাংলাদেশি যুবককে ধরে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাতে উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের লালারচক বিওপির হরিপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করে বিএসএফ। এ ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং আটককৃতদের পরিবারে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

আটককৃতরা হলেন—উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের সঞ্জরপুর গ্রামের বাসিন্দা আনু মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (২৩), হরিপুর গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে মাসুক রহমান মন্টুরি (২০) এবং তৈয়ব আলী ডাগা মিয়ার ছেলে সিপার আহমদ (২২)। তারা সকলেই স্থানীয় বাসিন্দা এবং নিয়মিত মাছ শিকারের জন্য ওই এলাকায় যেতেন বলে জানা গেছে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে সোহাগ, মাসুক ও সিপার বাংলাদেশের সীমান্তের ভেতর শরীফপুর ইউনিয়নের হরিপুর এলাকায় মাছ শিকার করছিলেন। ওই সময় সীমান্ত এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না, যার সুযোগ নিয়ে বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে তাদের চোরাকারবারি সন্দেহে আটক করে নিয়ে যায়। এই ঘটনাটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের প্রশ্ন তৈরি করেছে।

আটককৃত মাসুক রহমান মন্টুরির ভাই ময়নুল মিয়া সাংবাদিকদের জানান, “বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশ সীমান্তের ভেতরে মাছ শিকার করার সময় ১৫-২০ জন বিএসএফ এসে আমার ভাইসহ আরও দুজনকে আটক করে নিয়ে যায়। ওই সময় সীমান্ত এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা বিষয়টি স্থানীয় বিজিবিকে জানিয়েছি, তারা বলছে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতেছে।” ময়নুল মিয়া আরও জানান, খবর পেয়েছেন আটককৃতদের শুক্রবার ভারতের ইরানি থানায় হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।

শরীফপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য হারুন মিয়া বলেন, “স্থানীয়দের মাধ্যমে শুনেছি বৃহস্পতিবার রাতে তারা মাছ শিকার করতে সীমান্ত এলাকায় গিয়েছিল। পরে তাদের বিএসএফ এসে ধরে নিয়ে গেছে। বিষয়টি বিজিবিকে জানানো হয়েছে।”


 

এ বিষয়ে জানতে ৪৬ বিজিবি (শ্রীমঙ্গল) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম জাকারিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বিজিবি'র পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না পাওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ বাড়ছে। সাধারণত, এমন ঘটনায় বিজিবি দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে আটককৃতদের ফিরিয়ে আনতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে থাকে। তবে বর্তমান ক্ষেত্রে বিজিবি'র নীরবতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।