আগস্ট ৭, ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম
ভিডিওতে ১ মিলিয়ন ভিউ হলে কত টাকা আয় করা যায়, তা কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। সাধারণত ইউটিউব থেকে আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে বেশ কিছু শর্তের ওপর। ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে চ্যানেলটিকে অবশ্যই তাদের পার্টনার প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত হতে হয় এবং নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়।
: ইউটিউব থেকে আয়ের প্রধান উৎস হলো বিজ্ঞাপন। ইউটিউব সরাসরি ভিউয়ের জন্য টাকা দেয় না, বরং ভিডিওতে দেখানো বিজ্ঞাপনের জন্য টাকা দেয়। এই আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে সিপিএম (CPM - Cost Per Mille) এবং সিটিআর (CTR - Click-Through Rate) এর ওপর।
-
সিপিএম: এটি হলো ১০০০ ভিউতে বিজ্ঞাপনদাতারা যে পরিমাণ অর্থ প্রদান করে তার হার। সিপিএম উন্নত দেশগুলোতে বেশি হয়, যেমন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের দেশগুলো। বাংলাদেশি দর্শকদের তুলনায় বিদেশি দর্শকদের থেকে বেশি আয় হয়।
-
সিটিআর: এটি হলো ভিডিওতে দেখানো বিজ্ঞাপনে ক্লিক করা দর্শকের শতাংশ। সিটিআর যত বেশি হবে, আয় তত বেশি হবে।
১ মিলিয়ন ভিউ থেকে আনুমানিক আয়: ইউটিউবে ১ মিলিয়ন ভিউ থেকে সাধারণত ২,৫০০ থেকে ৫,০০০ ডলার পর্যন্ত আয় করা সম্ভব। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এই আয়ের পরিমাণ ভিডিওর বিষয়বস্তুর ওপরও নির্ভর করে। যেমন: প্রযুক্তি, অর্থ, ব্যবসা এবং শিক্ষা বিষয়ক ভিডিওগুলোতে বিজ্ঞাপনদাতারা বেশি অর্থ খরচ করে, ফলে এগুলোতে আয় বেশি হয়।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
-
মনিটাইজেশন: ইউটিউব থেকে আয়ের জন্য চ্যানেলটিকে অবশ্যই মনিটাইজেশন প্রোগ্রামের অন্তর্ভুক্ত হতে হবে। এর জন্য চ্যানেলটিতে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘণ্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হয়।
-
ভিডিওর দৈর্ঘ্য: লম্বা ভিডিওতে (১০ মিনিটের বেশি) একাধিক বিজ্ঞাপন দেখানো যায়, ফলে আয় বেশি হয়।
-
কন্টেন্টের ধরন: উন্নতমানের এবং বেশি চাহিদাসম্পন্ন কন্টেন্ট তৈরি করলে তা থেকে বেশি আয় হয়।
ইউটিউব থেকে ভালো আয় করার জন্য কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের ভিডিওতে বেশি ভিউ আনা এবং দর্শকদের ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।