সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

অত্যাধুনিক রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল পাকিস্তান

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ১, ২০২৫, ১১:০৫ এএম

অত্যাধুনিক রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল পাকিস্তান

ছবি- সংগৃহীত

মহাকাশ প্রযুক্তি একটি দেশের অর্থনৈতিক, সামরিক এবং কৌশলগত সক্ষমতার গুরুত্বপূর্ণ সূচক। পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই মহাকাশ গবেষণায় নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করার চেষ্টা করে আসছে। সম্প্রতি, দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা সুপারকো (SUPARCO) একটি অত্যাধুনিক রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে, যা দেশটির জন্য একটি বড় অর্জন। এই স্যাটেলাইটটি বিভিন্ন জাতীয় উন্নয়নমূলক কাজে সহায়ক হবে এবং পাকিস্তানের মহাকাশ কর্মসূচিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।

পাকিস্তান সফলভাবে অত্যাধুনিক রিমোট সেন্সিং স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে। দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন (সুপারকো) নিজস্ব প্রযুক্তিতে এই স্যাটেলাইট তৈরি করেছে।

এটিকে পাকিস্তানের মহাকাশ অভিযাত্রায় একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এআরওয়াই নিউজ।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নতুন এই স্যাটেলাইট পাকিস্তানের জাতীয় মহাকাশ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়তা করবে এবং দেশের পর্যবেক্ষণ সক্ষমতা আরও বাড়াবে। স্যাটেলাইটটি নগর পরিকল্পনা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং কৃষি উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে ভূমিকা রাখবে। এছাড়া এটি চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর (সিপিইসি) সংশ্লিষ্ট প্রকল্প, পরিবেশ পর্যবেক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত কার্যক্রমেও সহায়ক হবে।

উন্নতমানের ইমেজিং সিস্টেমে সজ্জিত স্যাটেলাইটটি সুনির্দিষ্ট কৃষি ব্যবস্থাপনা, পরিবেশ পর্যবেক্ষণ এবং দুর্যোগ প্রতিরোধে ব্যবহার করা হবে। এতে উন্নত সেন্সরও রয়েছে, যা বন্যা, ভূমিকম্প, ভূমিধস, হিমবাহ গলে যাওয়া ও বন উজাড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে আগাম ধারণা দিতে পারবে। এসব তথ্যের ভিত্তিতে সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ সহজ হবে। একইসঙ্গে এই স্যাটেলাইট অবকাঠামো পরিকল্পনা ও ভূস্থানিক মানচিত্র তৈরিতেও অবদান রাখবে, বিশেষ করে সিপিইসির মতো জাতীয় অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্পে।

স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পাকিস্তানের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন মন্ত্রী আহসান ইকবাল। তিনি জানান, স্যাটেলাইটটি সফলভাবে নির্ধারিত কক্ষপথে প্রবেশ করেছে এবং পাকিস্তান আবারও মহাকাশ প্রযুক্তিতে নেতৃত্বের অবস্থান ফিরে পেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরও জানান, আগামী বছর পাকিস্তান মহাকাশে একজন নভোচারী পাঠাবে। পাশাপাশি তিনি জানান, ২০৩৫ সালের মধ্যে চাঁদে পৌঁছানোর কর্মসূচি সম্পন্ন করার লক্ষ্য রয়েছে পাকিস্তানের।