আগস্ট ১, ২০২৫, ০৮:৫৮ পিএম
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যেকার সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই প্রতিবেশীসুলভ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ। তবে মাঝেমধ্যে কিছু স্পর্শকাতর বিষয় দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্কে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। সম্প্রতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিত একটি মানচিত্রকে কেন্দ্র করে ভারতের পার্লামেন্টে যে আলোচনা হয়েছে, তা দুই দেশের নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের মন্তব্যটি এই বিতর্কের গুরুত্ব বাড়িয়েছে।
গ্রেটার বাংলাদেশের মানচিত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। এজন্য তারা বাংলাদেশের ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। ভারতের জাতীয় স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্যই নয়াদিল্লি বাংলাদেশের ব্যাপারে বিশেষভাবে মনযোগী বলেও লোকসভার এক অধিবেশনে উল্লেখ করেছেন তিনি।
অধিবেশনে তাকে বিজেপির এক এমপি বলেন—সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সালতানাত-ই-বাংলা’ নামের একটি ইসলামপন্থি গোষ্ঠী ‘গ্রেটার বাংলাদেশ’ নামের একটি মানচিত্র প্রকাশ করে। ভারতের একাধিক রাজ্যকে সেই মানচিত্রে বাংলাদেশি ভূখণ্ড হিসেবে প্রদর্শন করা হয়। ‘সালতানাত-ই-বাংলা’ নামের এই গোষ্ঠীটি তুরস্কভিত্তিক এনজিও ‘তার্কিশ ইউথ ফেডারেশনে’র সহায়তা ও মদতপুষ্ট। আমরা এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, আমরা এ ইস্যুতে বাংলাদেশের সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সরকারি ফ্যাক্টচেকার প্ল্যাটফর্ম বাংলাফ্যাক্টের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের সরকার আমাদের জানিয়েছে যে ২০২৫ সালের ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি ইতিহাস সম্পর্কিত প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে মধ্যযুগের বাংলার একটি মানচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছিল। ওই প্রদর্শনীর যারা আয়োজক ছিলেন, তারা বাংলাদেশের সরকারকে বলেছেন যে কোনো বিদেশি সংস্থা বা গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে ‘সালতানাত-ই-বাংলা’ নামের কোনো সংগঠন বা গোষ্ঠীর অস্তিত্ব বাংলাদেশে নেই।
জয়শঙ্কর বলেন, আমরা জাতীয় স্বার্থ সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে বাংলাদেশের প্রতি বিশেষভাবে মনোযোগী। ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের ওপর আমরা নিবিড় নজর রাখছি এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা এগোচ্ছি।