আগস্ট ৩, ২০২৫, ১২:২৬ পিএম
গাজায় ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলাকালে 'অস্ত্রত্যাগে সম্মতির' খবরকে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। সংগঠনটি দ্ব্যর্থহীনভাবে জানিয়েছে, যতদিন ফিলিস্তিনিদের জাতীয় অধিকার প্রতিষ্ঠা না হবে, ততদিন তাদের সশস্ত্র লড়াই চলবে।
আজ শনিবার (২ আগস্ট) এক বিবৃতিতে হামাস জানায়, ইসরাইলি আগ্রাসন ও দখলদারিত্ব চলতে থাকলে প্রতিরোধ চালিয়ে যাওয়া তাদের জাতীয় অধিকার এবং এটি বৈধ। সংগঠনটি স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা এখনই অস্ত্র ছাড়ার পথে হাঁটছে না।
এই বিবৃতির পেছনে আছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের এক মন্তব্য। তিনি দাবি করেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনার সময় হামাস নাকি অস্ত্রত্যাগে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে। ইসরাইলি দৈনিক হারেৎজ-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরাইলি জিম্মিদের পরিবারের সঙ্গে এক সাক্ষাতে এমন মন্তব্য করেন উইটকফ।
তবে হামাস উইটকফের ওই দাবি 'মিথ্যা' বলে অভিহিত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, "সম্পূর্ণ সার্বভৌমত্ব, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র এবং জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণার আগ পর্যন্ত লড়াই চলবে।"
উল্লেখ্য, উইটকফ সম্প্রতি গাজায় বিতর্কিত একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন, যা পরিচালিত হয় যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের মদদে। এ সফর নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে হামাস। তাদের অভিযোগ, গাজাবাসীর দুরবস্থা আড়াল করতেই উইটকফের সফর ছিল 'পরিকল্পিত প্রদর্শনী'।
এদিকে, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে একাধিক আরব দেশ হামাসকে গাজা শাসন থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি ফ্রান্স ও কানাডার মতো কয়েকটি পশ্চিমা দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাজ্যও জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইসরাইল যদি কিছু শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়, তবে তারাও ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে।
হামাসের এই কঠোর অবস্থান এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির ক্রমবর্ধমান চাপ সংঘাতের ভবিষ্যৎ এবং মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।