সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

গাজায় ১০ লাখ নারী ও শিশু অনাহারে, জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশ।

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৪, ২০২৫, ১০:০৭ এএম

গাজায় ১০ লাখ নারী ও শিশু অনাহারে, জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশ।

ছবি- সংগৃহীত

অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে, যার ফলে প্রায় ১০ লাখ নারী ও শিশু অনাহারে দিন কাটাচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। জেনেভায় জাতিসংঘের কার্যালয় থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির অবসান ঘটানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। সংস্থাটি বলছে, এটি একটি অগ্রহণযোগ্য পরিস্থিতি এবং এর আশু সমাধান প্রয়োজন।

 দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর অবরোধ ও হামলার কারণে গাজায় খাদ্য, পানি, চিকিৎসা সামগ্রী এবং অন্যান্য জরুরি সেবার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা এই সংকটের সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছে। ত্রাণ সংস্থাগুলো বলছে, প্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ অপ্রতুল এবং অপুষ্টিজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।


 জতিসংঘের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম 'এক্স'-এ (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে বলা হয়েছে, "গাজায় দশ লাখ নারী ও কন্যাশিশু অনাহারে রয়েছে। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি অগ্রহণযোগ্য এবং এর অবসান হওয়া উচিত।" সংস্থাটি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, সকল বন্দীর মুক্তি এবং নারী ও শিশুদের জীবন রক্ষাকারী সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

 বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুসারে, এই বছরের জুলাই মাসে গাজায় ৭৪টি অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ৬৩টিই ছিল। এর মধ্যে পাঁচ বছরের কম বয়সী ২৪টি শিশু এবং ৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক রয়েছে। অন্যদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনাহারজনিত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ১৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ৯৩টি শিশু। এই পরিসংখ্যান প্রমাণ করে যে, গাজায় খাদ্য সংকট কতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

 ব্যাপক অনাহার ও অপুষ্টিজনিত মৃত্যুর ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার মুখে পড়ে ইসরায়েল। এর প্রতিক্রিয়ায়, গত রোববার গাজায় কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় বিমান হামলায় আংশিক বিরতি ঘোষণা করে তারা, যাতে মানবিক সহায়তা সামগ্রী প্রবেশ করতে পারে। তবে, মানবিক সংস্থাগুলো জানিয়েছে, যে পরিমাণ সাহায্য প্রবেশ করছে তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য। তারা সতর্ক করেছে যে, পর্যাপ্ত খাদ্যের সরবরাহ না হলে অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা আরও বাড়বে।