আগস্ট ৪, ২০২৫, ১০:৩৬ এএম
আঞ্চলিক সম্পর্ক জোরদার এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় সফরে পাকিস্তানে গিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। এই সফরে তেহরান ও ইসলামাবাদের মধ্যে পরিবহন, পর্যটন, বাণিজ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহ মোট ১২টি গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
: পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান। সাম্প্রতিক সময়ে উভয় দেশই এই সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করতে আগ্রহী। তারই ধারাবাহিকতায় ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের এই সফরকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। লাহোর সফর শেষে রোববার (৩ আগস্ট) সকালে তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই সাক্ষাতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ১২টি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিগুলোর প্রধান ক্ষেত্রগুলো হলো:
-
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি: গবেষণা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা।
-
পরিবহন ও যোগাযোগ: সড়ক, রেল ও নৌপথে পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করা।
-
শিল্প ও অর্থনীতি: যৌথ শিল্প প্রকল্প এবং অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন।
-
বাণিজ্য ও পর্যটন: দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং পর্যটন খাতকে প্রসারিত করা।
-
কৃষি: কৃষি প্রযুক্তি এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে সহযোগিতা।
-
বিচার: বিচারিক এবং আইনি সহায়তা প্রদান।
-
সীমান্ত নিরাপত্তা: সীমান্তে সন্ত্রাসী হুমকি মোকাবেলা এবং নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদার।
বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্য: চুক্তি স্বাক্ষরের পর ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, "প্রিয় পাকিস্তানে এসে আমি খুবই আনন্দিত। এটি আমার দ্বিতীয় বাড়ি।" তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলার, যা স্বল্পতম সময়ে ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব। উভয় দেশের পক্ষ থেকে বাণিজ্য, সাংস্কৃতিক বিনিময় এবং শিক্ষাক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করা হয়েছে।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক সমর্থন: ইরানি প্রেসিডেন্ট তার বক্তৃতায় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের 'সন্ত্রাসী আগ্রাসনের' সময় পাকিস্তানের সরকার ও জনগণের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, এই সমর্থন তেহরানের জন্য অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক ছিল। এছাড়া, সীমান্তে সন্ত্রাসী হুমকি মোকাবেলায় দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়েও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।