আগস্ট ৪, ২০২৫, ১০:৫১ এএম
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও দাবি করেছেন, তিনি বিশ্বজুড়ে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ ও সংঘাতের অবসান ঘটিয়েছেন। এর মধ্যে বিশেষভাবে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে আসন্ন পারমাণবিক যুদ্ধের কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, বাণিজ্যের কৌশল ব্যবহার করে তিনি এই সংঘাত থামিয়েছেন। তার এই দাবি নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিকবার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা নিরসনে তার ভূমিকার কথা তুলে ধরেছেন। গত ১০ মে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দেন যে, দীর্ঘ আলোচনার পর ভারত ও পাকিস্তান একটি "সম্পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে" সম্মত হয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টা পরই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এরপর থেকে ট্রাম্প বিভিন্ন সময়ে এই সংঘাত নিরসনে তার সফলতার কথা বারবার পুনরাবৃত্তি করে আসছেন।
সম্প্রতি নিজের সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্ম 'ট্রুথ সোশাল'-এ এক পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, "চারলামাগনে জানে না যে আমি ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধ থামিয়েছি।" তিনি আরও দাবি করেন যে, তিনি পাঁচটি যুদ্ধ থামিয়েছেন, যার মধ্যে কঙ্গো-রুয়ান্ডা সংঘাতও রয়েছে।
এর একদিন আগেই নিউজম্যাক্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমরা অনেকগুলো যুদ্ধ মিটিয়ে ফেলেছি... ভারত-পাকিস্তান একটা পারমাণবিক যুদ্ধের দিকে যাচ্ছিল, আমি সেটা থামিয়ে দিয়েছি।"
ট্রাম্প তার দাবিকে সমর্থন করে বলেন, "আমি বাণিজ্যের মাধ্যমে যুদ্ধ থামিয়েছি। আমি বলেছিলাম, 'তোমরা যুদ্ধ করতে চাও, করো। কিন্তু আমরা কোনও বাণিজ্য চুক্তি করব না'।" তিনি জানান, তার এই কৌশলের পর ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই যুদ্ধ বন্ধ করতে সম্মত হয়। ট্রাম্পের দাবি, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি মাসে গড়ে একটি করে যুদ্ধ থামিয়েছেন, যা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন রক্ষা করেছে।
ট্রাম্পের এই দাবির পরপরই তার প্রশাসন ভারতের সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। একইসঙ্গে রাশিয়ার কাছ থেকে অপরিশোধিত তেল ও সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য অতিরিক্ত জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে। পাকিস্তানের জন্য ১৯ শতাংশ শুল্ক নির্ধারণ করা হলেও, তাদের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের "বিশাল তেল সম্পদ" উন্নয়নে কাজ করবে বলে জানানো হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া, ইসরায়েল-ইরান, রুয়ান্ডা-কঙ্গো, ভারত-পাকিস্তানসহ আরও কয়েকটি সংঘাত বন্ধের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে ছয় মাসে অন্তত একটি করে শান্তি চুক্তি করিয়েছেন। তার মতে, "এখনই সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়ার।"