সোমবার, ১১ আগস্ট, ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২

বন্দিদের কাছে খাদ্য পৌঁছানোর অনুমতি দিতে পারে হামাস।

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

আগস্ট ৪, ২০২৫, ০৬:১৬ পিএম

বন্দিদের কাছে খাদ্য পৌঁছানোর অনুমতি দিতে পারে হামাস।

ছবি- সংগৃহীত

গাজায় আটক ইসরাইলি বন্দিদের জন্য আন্তর্জাতিক রেড ক্রস কমিটিকে (আইসিআরসি) খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহের অনুমতি দিতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাস। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পক্ষ থেকে রেড ক্রসের কাছে হস্তক্ষেপের অনুরোধের পর হামাস এই শর্তসাপেক্ষ অবস্থান ব্যক্ত করে। সোমবার (৪ আগস্ট) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে।

গাজায় ইসরায়েলি অবরোধ ও সামরিক অভিযানের কারণে মানবিক সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। সম্প্রতি হামাস কর্তৃক প্রকাশিত ভিডিওতে দুজন ইসরাইলি বন্দিকে চরম ক্ষীণদেহী অবস্থায় দেখা যায়, যা গাজায় খাদ্যসংকটের ভয়াবহতা তুলে ধরে। এরপরই নেতানিয়াহু রেড ক্রসের কাছে বন্দিদের জন্য জরুরি সহায়তা পাঠানোর অনুরোধ জানান। এই প্রেক্ষাপটে হামাসের এই ইঙ্গিতকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।


 হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবায়দা এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাজায় ইসরাইলি বন্দিরা "আমাদের যোদ্ধা এবং জনগণ যা খায়, তার বাইরে কিছুই পায় না।" তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, "নিয়মিত ও স্থায়ীভাবে গাজা উপত্যকার সকল এলাকায় খাদ্য ও ওষুধ প্রবেশের জন্য মানবিক করিডোর খোলা হলেই আমরা রেড ক্রসের যে কোনো সহায়তা পৌঁছানোর অনুরোধে ইতিবাচক সাড়া দিতে প্রস্তুত।" তবে আবু ওবায়দা আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত জুড়ে দিয়েছেন, তা হলো, রেড ক্রস যখন এই প্যাকেজ গ্রহণ করবে, তখন সব ধরনের ইসরাইলি আক্রমণ বন্ধ থাকতে হবে।

 বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু তার এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে রেড ক্রসের প্রধান জুলিয়ান লারসনের সঙ্গে তার ফোনালাপের কথা উল্লেখ করে বলেন যে, তিনি গাজায় বন্দিদের জন্য "তাৎক্ষণিক সম্পৃক্ততা" চেয়েছেন। তিনি হামাসের বিরুদ্ধে "দুর্ভিক্ষের মিথ্যাচার" চালানোর অভিযোগও করেন।

অন্যদিকে, রেড ক্রস বন্দিদের ভিডিও দেখে "মর্মাহত" হয়েছে এবং বন্দিদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বারবার আহ্বান জানাচ্ছে। সংস্থাটি বলেছে, বন্দিরা "প্রাণনাশকারী পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছেন।" তবে একই সঙ্গে রেড ক্রস উল্লেখ করেছে যে, তারা ৭ অক্টোবর, ২০২৩-এর পর থেকে ইসরায়েলে আটক কোনো ফিলিস্তিনির সঙ্গে দেখা করতে পারেনি।

 গাজার সরকারবিষয়ক মিডিয়া অফিসের তথ্যমতে, শনিবার ইসরায়েল মাত্র ৩৬টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমতি দেয়, অথচ প্রায় ২২ হাজার ট্রাক সীমান্তে অপেক্ষমাণ। এই পরিস্থিতির কারণে নারী ও শিশুদের মধ্যে দুর্ভিক্ষ ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গাজায় বর্তমানে আনুমানিক ৫০ জন ইসরাইলি বন্দি রয়েছেন, যাদের অর্ধেকেরও কম জীবিত বলে ধারণা করা হয়।