আগস্ট ৭, ২০২৫, ০২:০৫ পিএম
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অব্যাহত চাপ এবং শুল্ক আরোপের হুমকি সত্ত্বেও ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করেনি। এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক কঠিন কূটনৈতিক সমীকরণ সামলাচ্ছেন। বুধবার (৬ আগস্ট) ট্রাম্প ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, যা মূলত রাশিয়া থেকে কম দামে তেল কেনার প্রতিশোধ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ট্রাম্প তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, “ভারত বিপুল পরিমাণ রাশিয়ান তেল কিনছে এবং তার অনেকটা আবার বাজারে বিক্রি করছে মোটা মুনাফায়। ওরা ইউক্রেনের মানুষের প্রাণহানির বিষয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়।”
ভারতের পক্ষ থেকে এই শুল্ককে ‘অন্যায্য’ এবং ‘বৈষম্যমূলক’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। ভারতের যুক্তি হলো, ইউরোপ ও আমেরিকার বহু দেশ এখনো রাশিয়া থেকে সার ও অন্যান্য রাসায়নিক পণ্য কিনছে, তাহলে শুধু ভারতের ওপর কেন এমন চাপ সৃষ্টি করা হবে?
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণভাবে অর্থনৈতিক। রাশিয়ান তেল আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় অনেক কম দামে পাওয়ায় ভারত তা ছাড়তে রাজি নয়।
রাশিয়া ভারতেকে তাদের অপরিশোধিত তেল বড় ছাড়ে দিচ্ছে, যা অন্য কোনো দেশ দিচ্ছে না। এটি ভারতের মতো দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২. বৃহৎ আমদানিকারক: বর্তমানে রাশিয়া ভারতের মোট তেল আমদানির ৩৬ শতাংশ সরবরাহ করে, যা রাশিয়াকে ভারতের সবচেয়ে বড় তেল সরবরাহকারী দেশে পরিণত করেছে। ৩. সীমাবদ্ধ বিকল্প: ট্রাম্প প্রশাসনের আগের চাপের কারণে ভারত ইরান ও ভেনেজুয়েলার মতো দেশ থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছিল। ফলে রাশিয়াই এখন ভারতের জন্য সবচেয়ে সহজলভ্য এবং লাভজনক বিকল্প। ৪. বৈশ্বিক বাজারে প্রভাব: ভারতের দাবি, রাশিয়া থেকে তেল কিনে তারা বৈশ্বিক বাজারে তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করছে। যদি ভারত রাশিয়ার বদলে অন্য জায়গা থেকে বেশি দামে তেল কিনতে শুরু করে, তবে মধ্যপ্রাচ্যের তেলের চাহিদা বাড়বে, যার ফলে আমেরিকান গ্রাহকদের ওপরও তার প্রভাব পড়বে।