মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই, ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি ম্যাক্রোঁর, রুবিওর নিন্দা: বেপরোয়া সিদ্ধান্ত

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৫, ২০২৫, ১২:৪৬ পিএম

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি ম্যাক্রোঁর, রুবিওর নিন্দা: বেপরোয়া সিদ্ধান্ত

দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত আন্তর্জাতিক কূটনীতির এক জটিল অধ্যায়। ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিভেদ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে গাজায় চলমান সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এই বিষয়টি আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। এরই মধ্যে ইউরোপের অন্যতম প্রভাবশালী দেশ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার এক ঐতিহাসিক ঘোষণা দিয়েছেন। তবে এই সিদ্ধান্ত ইসরায়েল এবং তার মিত্র দেশগুলোর, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের, তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।

ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফ্রান্সের স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা ঘিরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর এই সিদ্ধান্তকে ‘পুরোপুরি বেপরোয়া’ বলে তীব্র সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা মার্কো রুবিও।



 

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক বার্তায় রুবিও বলেন, “জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করার যে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন— তা আমরা দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। পুরোপুরি বেপরোয়া এই সিদ্ধান্ত হামাসের প্রোপাগান্ডাকে সহায়তা করবে এবং সেখানে শান্তিস্থাপন প্রক্রিয়াকে আরও পিছিয়ে দেবে। গত ৭ অক্টোবর যারা হামাসের হামলার শিকার হয়েছিলেন, ম্যাক্রোঁর ঘোষণা তাদের প্রতি চপোটাঘাত।”

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ম্যাক্রোঁ ঘোষণা দেন যে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে ফ্রান্স আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে। পরে এক এক্সবার্তাতেও তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


 

জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে ফ্রান্স এবং যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই রয়েছে। যদি ফ্রান্স ম্যাক্রোঁর ঘোষণা অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়, সেক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদের কোনো স্থায়ী সদস্য হিসেবে ফ্রান্সই হবে প্রথম দেশ, যা ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে। এর জেরে স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের দাবি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত জুনের মাঝামাঝি সময়ে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন ইস্যুতে একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই সম্মেলনে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান যৌথভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন।