বুধবার, ৩০ জুলাই, ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: জারিফের মরদেহ হাসপাতাল থেকে হস্তান্তর

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ২৬, ২০২৫, ১২:৫৪ পিএম

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি: জারিফের মরদেহ হাসপাতাল থেকে হস্তান্তর

ছবি- সংগৃহীত

গত কয়েক দিন ধরে রাজধানীর উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সারাদেশ শোকস্তব্ধ। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও আহতদের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। শিক্ষার্থীদের ওপর ভেঙে পড়া এই প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানের ঘটনায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণ পরিণত হয়েছে এক শোকের কেন্দ্রবিন্দুতে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় একের পর এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে জনমনে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে। সর্বশেষ, চিকিৎসাধীন অবস্থায় জারিফ ফারহানের মৃত্যুর খবর এই ট্র্যাজেডির বেদনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

রাজধানীর উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন থাকা মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী জারিফ ফারহানের (১৩) মরদেহ হাসপাতাল থেকে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুর সোয়া ১২টায় জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট থেকে তার মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। জারিফের বোন তার মরদেহ গ্রহণ করেছেন।



 

জারিফের শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ দগ্ধ ছিল এবং তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ৯টা ১০ মিনিটে শিশুটি মারা যায়। জারিফের বাবার নাম হাবিবুর রহমান এবং মায়ের নাম রাশেদা ইয়াসমিন।

এর আগে শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে ও দুপুরে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুই শিক্ষার্থী—আইমান (১০) এবং মাকিন (১৩)—মারা যায়। আইমানের শরীরের ৪৫ শতাংশ এবং মাকিনের শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।

শনিবার সকাল পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৫ জনে। এ দুর্ঘটনায় এখনো প্রায় অর্ধশত মানুষ রাজধানীর সাতটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নিহতদের মধ্যে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ১৭ জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ১৫ জন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে একজন, লুবনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড কার্ডিয়াক সেন্টারে একজন (অজ্ঞাতনামা) এবং ইউনাইটেড হাসপাতালে একজন মারা গেছেন।

এই মর্মান্তিক ঘটনায় নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানাচ্ছে পুরো দেশ।