জুলাই ১৮, ২০২৫, ০৩:১৫ পিএম
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন একটি ম্যারাথনের মতো দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। সময় যতই লাগুক না কেন, এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেই হবে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকালে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত প্রতীকী ম্যারাথনে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছিল। এই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় একটি প্রতীকী ম্যারাথনের আয়োজন করে, যেখানে বিভিন্ন বয়সের দৌড়বিদরা উৎসাহের সঙ্গে অংশ নেন। এই বিশেষ আয়োজনে আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার অংশগ্রহণ ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। তার নিজস্ব ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ম্যারাথন শেষে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয় এবং আহতদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। পুরো আয়োজনজুড়ে ছিল একটি আবেগঘন পরিবেশ এবং 'জুলাই চেতনাকে' আগামীর প্রজন্মে ছড়িয়ে দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়।
আসিফ মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, "এই প্রতীকী ম্যারাথনে আমাদের যেমন দৌড়াতে হচ্ছে, তেমনি গণঅভ্যুত্থানের স্বপ্ন বাস্তবায়নও একটি ম্যারাথনের মতো দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া। দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে সবাই লড়াই করেছিল, আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি।" তিনি আরও বলেন, "জুলাইয়ের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।"
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তরুণ উদ্যোক্তাদের নিয়ে এক কর্মশালায় অংশ নিয়েছিলেন, যেখানে তিনি বলেন যে জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রধান কারণ ছিল বেকারত্ব। তিনি উল্লেখ করেন, "বেকারত্ব বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, এবং দেশ এখনো সেই সমস্যার মধ্যেই আছে।" তিনি আরও বলেন, "আমরা গত বছর জুলাইয়ে ঠিক এই সময়ই একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গেছি এবং যার মূল কারণ ছিল বেকারত্ব। আমরা এই সমস্যার মধ্যেই আছি, এবং রাতারাতি উন্নতি হওয়ার বিষয় নয় এটি।"
আসিফ মাহমুদ দৃঢ়ভাবে পুনর্ব্যক্ত করেন যে, গণঅভ্যুত্থানের যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল, তা অর্জনে সময় লাগলেও সরকার ও সংশ্লিষ্ট সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করে যাবে। এই প্রতীকী ম্যারাথন আয়োজন নতুন প্রজন্মের কাছে সেই ঐতিহাসিক ঘটনার তাৎপর্য তুলে ধরার এক সচেতন প্রয়াস বলে মনে করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন: