বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২

সীমানা নির্ধারণে দাবি-আপত্তির সুযোগ ১১ দিন

দিনাজপুর টিভি ডেস্ক

জুলাই ৩০, ২০২৫, ০৯:১১ পিএম

সীমানা নির্ধারণে দাবি-আপত্তির সুযোগ ১১ দিন

ছবি- সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসনগুলোর সীমানা পুনর্নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া, যা ভোটারদের প্রতিনিধিত্ব এবং প্রশাসনিক সুবিধার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) এই কাজটি সম্পন্ন করে এবং সাধারণত একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট এলাকার নাগরিকদের কাছ থেকে দাবি-আপত্তি ও সুপারিশ আহ্বান করে। সম্প্রতি, নির্বাচন কমিশন নতুন করে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে এবং এর ওপর দাবি-আপত্তি জানানোর জন্য সময়সীমা ঘোষণা করেছে, যা নির্বাচনকেন্দ্রিক আলোচনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে দাবি-আপত্তি জানাতে ১১ দিন সময় দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অর্থাৎ আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকার নাগরিকদের কাছ থেকে দাবি-আপত্তি আহ্বান করেছে সংস্থাটি।

বুধবার (৩০ জুলাই) নির্বাচনের সীমানা সংক্রান্ত এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ইসি।

বিজ্ঞপ্তিতে ইসি যা জানিয়েছে: বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯ এর দফা (১) এর উপ-দফা (গ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১ এর ধারা ৮ এর উপ-ধারা (১)(খ) অনুযায়ী জাতীয় সংসদ-সদস্যের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক নির্বাচনী এলাকাসমূহের সীমানা উপরোক্ত আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা (২) অনুসারে প্রশাসনিক সুবিধা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জনসংখ্যার বাস্তব বিভাজনকে যতদূর সম্ভব বিবেচনায় রেখে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে ধারা ৬ এর উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করেছে এবং তালিকাটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে লিখিত দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত আহ্বান করেছে।

ইসি আরও জানায়, কোনো সংক্ষুদ্ধ বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আগামী ১০ আগস্টের মধ্যে কোনো আসনের পুনঃনির্ধারিত নির্বাচনী এলাকার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বরাবর লিখিত দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত পেশ করতে পারবেন। তবে দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত এই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত কোনো আসনের সীমানা সংক্রান্ত হতে হবে এবং দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত সংক্রান্ত দরখাস্ত ৫ প্রন্থ দাখিল করতে হবে। নির্ধারিত তারিখের পর কোনো দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত সংক্রান্ত দরখাস্ত গ্রহণ করা হবে না।

সীমানা পুনঃনির্ধারণে কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করতে বলেছে সংস্থাটি। সেগুলো হলো:

ক. পার্বত্য এলাকার ৩ জেলার ৩টি আসন অপরিবর্তনীয় রাখা; খ. ২ আসন বিশিষ্ট জেলার আসন সংখ্যা অপরিবর্তীত রাখা; কারণ ভোটার/জনসংখ্যার অনুপাতে আসন বৃদ্ধি করলে অস্বাভাবিকভাবে হ্রাস (জেলাভিত্তিক ভোটারের জাতীয় গড়ের তুলনায়) পায়। আবার ২টি আসন-কে ১টি আসনে হ্রাস করলে ভোটার সংখ্যা গড়ের তুলনায় অনেক বেড়ে যায়; গ. ৩ আসন বিশিষ্ট জেলার আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখা। আসন হাস/বৃদ্ধিতে ভোটার/জনসংখ্যার অনুপাতে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়ে পড়ে; ঘ. যেসব আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের জন্য কোনো আবেদন দাখিল হয়নি সে আসনগুলো অপরিবর্তীত রাখা; ঙ. প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার গণ্যে উপজেলা/খানা ইউনিটকে যতদূর সম্ভব অখণ্ড রাখা; চ. জেলার মধ্যকার আসনের ভোটার সংখ্যা সবোর্চ্চ ৩০% ব্যবধানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা; ছ. যতদূর সম্ভব, প্রশাসনিক ও নির্বাচনী সুব্যবস্থার বিষয় বিবেচনায় রেখে উপজেলা, সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ডের অখণ্ডতা বজায় রাখা; জ. ইউনিয়ন, সিটি কর্পোরেশনের ওয়ার্ড ও পৌরসভার একাধিক সংসদীয় আসনের মধ্যে বিভাজন না করা; ঝ. সিটি কর্পোরেশন এলাকার জনসংখ্যা, ভোটার সংখ্যা, প্রশাসনিক পরিধি বিবেচনায় নির্বাচনী এলাকা পুনঃবিন্যাস করা; ঞ. যতদূর সম্ভব, সীমানা পুনঃনির্ধারণকালে সংশ্লিষ্ট জনগণের সেবা বিষয়ক সুবিধা/অসুবিধার বিষয় বিবেচনা করা; এবং ট. যতদূর সম্ভব, ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য (যথা-নদী) ও যোগাযোগ ব্যবস্থা (যথা-রাস্তাঘাট) তথা জনগণের যাতায়াত ব্যবস্থা সুবিধা ও অসুবিধা বিবেচনা করা; ঠ. যেসব প্রশাসনিক এলাকা নতুন সৃষ্টি হয়েছে বা সম্প্রসারণ হয়েছে বা বিলুপ্ত হয়েছে তা অন্তর্ভুক্ত/কর্তন করা এবং পরিবর্তিত নাম সংশোধন করা।